কুলতলির পরে এ বার চুরি আলিপুরদুয়ারের লজে

মাত্র তিন দিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পিয়ালিতে বেড়াতে গিয়ে সর্বস্ব খোয়াতে হল কলকাতার বাসিন্দা একদল পর্যটককে। দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখমও হন একজন। এ বার ডুয়ার্সে বোতে গিয়ে বর্ধমানের বাসিন্দা একটি পরিবারের সব টাকা, গয়না ও এটিএম কার্ড চুরি হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:১১
Share:

মাত্র তিন দিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পিয়ালিতে বেড়াতে গিয়ে সর্বস্ব খোয়াতে হল কলকাতার বাসিন্দা একদল পর্যটককে। দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখমও হন একজন। এ বার ডুয়ার্সে বোতে গিয়ে বর্ধমানের বাসিন্দা একটি পরিবারের সব টাকা, গয়না ও এটিএম কার্ড চুরি হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁদের দাবি, আলিপুরদুয়ারে যে বেসরকারি লজে তারা উঠেছিলেন, সেখান থেকেই চুরি হয়। তবে মঙ্গলবার সঙ্গেসঙ্গে তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে গিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের মহকুমাশাসক।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৯ মার্চ আলিপুরদুয়ার শহরের একটি লজে ওঠেন বর্ধমানের বুদবুদ এলাকার বাসিন্দা শিবশঙ্কর ভট্টাচার্য, তাঁর স্ত্রী ও তাঁদের ৯ বছরের মেয়ে। সোমবার দুপুরে তাঁরা ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। দাবি, হোটেলের ঘরেই ব্যাগের ভিতরে ছিল নগদ এগারো হাজার টাকা, একটি সোনার চেন ও দু’টি এটিএম কার্ড। মঙ্গলবার সকালে হোটেল ছাড়ার সময় দেখেন ব্যাগ থেকে সে সব উধাও। শিবশঙ্করবাবু জানান, শিলিগুড়ি হয়ে গ্যাংটকে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। মঙ্গলবার হোটেল ছাড়ার আগে দেখেন, ব্যাগে টাকা, সোনার হার ও এটিএম কার্ড নেই। তিনি বলেন, ‘‘চুরির পরে হাত পুরো খালি হয়ে যায়। এটিএম কার্ডও চুরি হয়ে যাওয়ায় টাকা তুলতে পারছিলাম না।’’

এরপরেই তাঁরা পুলিশে অভিযোগ করেন। মহকুমাশাসক সমীরণ মণ্ডলকেও সব জানান। সমীরণবাবু ব্যক্তিগত ভাবে শিবশঙ্করবাবুদের দুপুরের খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। ট্রেনের টিকিটের ব্যবস্থাও করেন। তবে শিবশঙ্করবাবুরা ওই ট্রেনে উঠতে চাননি। স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় রায়কে শিবশঙ্করবাবুদের দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন সমীরণবাবু। বিজয়বাবু জানান, শিবশঙ্করবাবুর মেয়ে অসংরক্ষিত কামরায় উঠতে চায়নি। পরে বিজয়বাবু তাঁদের জন্য বুধবারের ট্রেনে সংরক্ষিত কামরার টিকিট কেটে দেন। আলিপুরদুয়ারের ওই লজের মালিক মহাদেব ঘোষ জানান, আগে তাঁর হোটেলে চুরি হয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘কেউ কিছু ফেলে গেলে তা হোটেলকর্মীরা জমা দেন। ঘরের চাবি ওই পরিবারের কাছেই ছিল। কী ভাবে চুরি হল বুঝতে পারছি না।’’

Advertisement

ইস্টার্ন হিমালয় ট্রাভেল এন্ড ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘এখন ভরা পর্যটন মরসুম। এই ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি হোটেল ও লজগুলির নিরাপত্তা আরও বাড়ানো দরকার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন