কড়াকড়ি কেন, পরীক্ষা শেষে মার শিক্ষকদের

ওই সময় দ্বিতীয় হাফের পরীক্ষা চলায় স্কুলে ঢুকতে শুরু করে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা। শিক্ষকদের মার খেতে দেখে তারা হামলাকারীদের উপরে চড়াও হয়। একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা মারমুখী হতে ব্যাগ, চটি ছেড়ে পালাতে থাকে হামলাকারীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:১০
Share:

প্রহৃত প্রধান শিক্ষক। নিজস্ব চিত্র

পরীক্ষার হলে কড়াকড়ি কেন করা হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলে দুই শিক্ষককে ঘিরে ধরে বেধড়ক পেটালো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের একাংশ। তাদের বাধা দিতে এসে ইটের আঘাতে জখম হলেন প্রধান শিক্ষক, এক শিক্ষক ও দুই অশিক্ষক কর্মী। ইট ও পাথর ছুড়ে স্কুলে যথেচ্ছ ভাঙুচুরও চালানো হল। ইটের আঘাতে ডান হাত ভেঙেছে এক শিক্ষকের। বুধবার সামসি এগ্রিল হাই স্কুলের ঘটনা।

Advertisement

বাইরে পড়ুয়াদের হাতে শিক্ষকদের মার খেতে দেখে তাদের উপরে চড়াও হয় স্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা। তাদের পাল্টা মারে আহত হয় পাঁচ পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার শেষ দিনে গন্ডগোলের আশঙ্কা থাকলেও কেন মাত্র তিন জন সিভিক ভল্যান্টিয়ার রাখা হয়েছিল প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। সন্ধেয় পুলিশে অভিযোগ জানান প্রধান শিক্ষক। চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’’ সামসি এগ্রিল হাইস্কুল কেন্দ্রে রতুয়া হাইস্কুল, ভাদো বিএসবি হাইস্কুল ও ভগবানপুর হাই মাদ্রাসার আসন পড়েছিল। এ দিন পরীক্ষা শেষ হওয়ার সময় মূল ফটকে গিয়ে দাঁড়ান দুই শিক্ষক শম্ভু মণ্ডল ও সুকোমল সরকার। বের হওয়ার সময় তাঁদের দু’জনকে ঘিরে ধরে কিল, চড়, ঘুসি মারতে শুরু করে প্রায় কুড়ি জন পরীক্ষার্থী। একদল পরীক্ষার্থী স্কুল লক্ষ্য করে যথেচ্ছ ইট-পাথর ছুড়তে শুরু করে। স্কুলের অফিসঘরের বেশ কিছু জানলার কাচ ভেঙে যায়। দুই শিক্ষককে মার খেতে দেখে ছুটে আসেন প্রধান শিক্ষক শৈলেশ পাণ্ডে ও শিক্ষক পবন অগ্রবাল। পড়ুয়াদের ছোড়া ভারী ইটে ডান হাত ভেঙে যায় পবনবাবুর। ডান পায়ে ইট লেগে রক্ত ঝরতে থাকে প্রধান শিক্ষকের।

ওই সময় দ্বিতীয় হাফের পরীক্ষা চলায় স্কুলে ঢুকতে শুরু করে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা। শিক্ষকদের মার খেতে দেখে তারা হামলাকারীদের উপরে চড়াও হয়। একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা মারমুখী হতে ব্যাগ, চটি ছেড়ে পালাতে থাকে হামলাকারীরা।

Advertisement

প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘হলে টুকলি করতে দেওয়া হয়নি বলে এ ভাবে মার খেতে হবে ভাবতেই পারছি না। রতুয়া হাইস্কুলের পড়ুয়ারাই এমনটা করেছে।’’ সেন্টার ইনচার্জ আজিজুর রহমানও পড়ুয়াদের আচরণে বিস্মিত। জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক)তাপস বিশ্বাস বলেন, ‘‘এমন আচরণ কাম্য নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন