টোটো ও অটো চালকদের বিবাদে ভুগলেন যাত্রীরাই

কোন রাস্তায় কে গাড়ি চালাবেন তা নিয়ে পুলিশের সামনেই সিটি অটো এবং টোটো চালকদের গোলমালে উত্তেজনা ছড়াল শিলিগুড়িতে। একে অপরকে ধরে টানাটানি, মারধর, যাত্রীদের জোর করে নামিয়ে দেওয়া-কোনও কিছুই বাদ গেল না। দুর্ভোগ পোহাতে হল যাত্রীদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:০৩
Share:

পুলিশের সামনেই হাতাহাতিতে জড়ালেন টোটো-অটো চালকেরা।— নিজস্ব চিত্র

কোন রাস্তায় কে গাড়ি চালাবেন তা নিয়ে পুলিশের সামনেই সিটি অটো এবং টোটো চালকদের গোলমালে উত্তেজনা ছড়াল শিলিগুড়িতে। একে অপরকে ধরে টানাটানি, মারধর, যাত্রীদের জোর করে নামিয়ে দেওয়া-কোনও কিছুই বাদ গেল না। দুর্ভোগ পোহাতে হল যাত্রীদের।

Advertisement

সোমবার সকাল থেকে দুপুর অবধি ভক্তিনগর থানার দুই মাইল এলাকার ঘটনা। ট্রাফিক পুলিশ অভিযানে নামলে সন্ধেয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বড় রাস্তায় টোটো চলা অনেকটাই বন্ধ হয়। শিলিগুড়ির ডিসি (ট্রাফিক) সুনীল যাদব বলেন, ‘‘লিখিত অভিযোগ হয়নি। নিয়ম ভাঙায় ২৩টি টোটো আটক করা হয়।’’

অটোর চালকেরা টোটোর দৌরাত্ম্যের প্রতিবাদে এ দিন বন্‌ধের ডাক দিয়েছিল। রবিবার রাতে পুলিশের সঙ্গে আলোচনায় তা তুলে নেওয়া হয়। সেবক রোডের কিছু চালক তা জানতেন না। তাঁরা সকাল থেকে গাড়ি বন্ধ করে বড় রাস্তায় টোটো চালকদের ধরপাকড়ে নেমে পড়েন। এতেই উত্তেজনা ছড়ায়। টোটো থেকে অসুস্থ রোগী, ছাত্রছাত্রীদের জোর করে নামানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সামনে ধাক্কাধাক্কি, মারামারি হয় বলে অভিযোগ। আবার অলিগলিতে সিটি অটোর চালকদের হুমকি দেওয়া শুরু করেন টোটো চালকেরা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি শহরে গত এক দশকের বেশি সময় ধরে সিটি অটো চলছে। জেলা পুলিশ-প্রশাসন ও পরিবহণ দফতরের নির্দেশে আপাতত টোটোর জন্য কিছু নিয়ম লাগু রয়েছে। এর অন্যতম জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক এবং বড় রাস্তায় টোটো চালানো যাবে না। অলিগলিতেই টোটো ঘুরবে। এই জায়গা থেকেই সিটি অটোর চালকদের সঙ্গে টোটো চালকদের গোলমাল।

বাসিন্দারা জানান, সিটি অটোর উপর পুলিশ-প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ নেই। যেখানে খুশি দাঁড়াচ্ছে, ইচ্ছা মতো ভাড়া নিচ্ছে, যাত্রী তুলছে। কালো ধোঁয়ায় শহর ভরিয়ে দিচ্ছে। টোটো চালকেরাও খেয়ালখুশি মতো চলছেন। রাস্তার মোড় দখল করে স্ট্যান্ড বানাচ্ছেন। দুই ক্ষেত্রেই চালকেরা বর্তমান শাসক দলের পতাকার তলায় থাকায় পুলিশ প্রশাসন সহজে ব্যবস্থা নেয় না বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ।

সিটি অটো অপারেটর্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক নির্মল সরকার বলেন, ‘‘প্রশাসনকে টোটো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আমাদের চালকেরা কাউকে কিছু করেননি। সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল।’’ আর টোটো চালকদের সেবক রোড এলাকার নেতা শ্যামল রায় জানান, কিছু চালক ভুল করে বড় রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছিল। তাতে অটো চালকেরা বাধা দেন। গোলমাল হয়নি। পারমিট এসে গেলে সমস্যাও মিটবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন