শীতের সময় কমে যায় ডেঙ্গির দাপট। তাই ওই সময়টাই মশার লার্ভা মারতে তেল স্প্রে করার উপযুক্ত। কিন্তু গত সাড়ে তিন মাস সেই কাজটাই না করার অভিযোগ উঠেছে শিলিগুড়ি পুরসভার বিরুদ্ধে। এতে রোদ-বৃষ্টির দাপট বাড়লে ডেঙ্গি বাহক মশার দাপটও শুরু হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা।
শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক শেখর চক্রবর্তী জানান, ডেঙ্গি জীবাণু বহন করছে এমন মশার ডিম থেকে যে সমস্ত মশা জন্মাবে সেগুলো সমস্তই ডেঙ্গির জীবাণু বহন করবে। সে কারণে ওই সমস্ত লার্ভা এবং ডিম নষ্ট করে ফেলা দরকার। শীত থাকতেই ডিম, লার্ভা মারার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারলে ডেঙ্গি ঠেকানো সহজ হবে। জানুয়ারি মাসের শীতে ডেঙ্গি সংক্রমণের বিষয়টিও উদ্বেগজনক বলে তাঁরা মনে করছেন।
মেয়র অশোক ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, ‘‘মশা মারতে ধোঁয়া ছড়ানোর কাজ চলছিল। দ্রুত স্প্রে করার কাজে জোর দেওয়া হবে।’’ পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, জুলাই থেকে অক্টোবর ডেঙ্গির ভয়াবহ পরিস্থিতিতে প্রতিটি বরোতে স্প্রে করার জন্য দল করা হয়েছে। অক্টোবরের পরে সেই দল বসিয়ে দেওয়া হয়।
গত তিন মাস কাউন্সিলররা বিচ্ছিন্ন ভাবে কেউ কেউ ওয়ার্ডে স্প্রে করিয়েছেন। তবে সার্বিক ভাবে মশার ডিম, লার্ভা নষ্ট করতে স্প্রে করার কাজ হয়নি বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকারের।
৫ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান রঞ্জন শীলশর্মা বলেন, ‘‘বরো থেকে গত তিন মাস ধরে কোনও ওয়ার্ডে স্প্রে করা হয়নি। পুরসভার তরফে শুধু সচেতনতা প্রচার করলেই তো হবে না। রোগ প্রতিরোধে যা করার দরকার সেটা তো করতে হবে।’’ ১ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান স্নিগ্ধা হাজরা দাবি করেন, ৪ এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডে স্প্রে করার কাজটা চালানো হচ্ছিল।
শীতের সময় স্প্রে করার কাজটাকে যে গুরুত্ব দেওয়া দরকার সচেতনতা অভাবে তা কাউন্সিলরদের অনেকেই জানতেন না। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রশান্ত চক্রবর্তী জানান, শীতের সময় মশা কম। তাই স্প্রে করার কাজও তেমন ভাবে হয়নি। বরো থেকে স্প্রে করার লোকও আসেনি। কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা সুজয় ঘটক বলেন, ‘‘পুরসভার তরফে স্প্রে করার কাজে এখনই জোর দেওয়া দরকার। যাতে এ বছর রোগ প্রতিরোধ করা যায়।’’