তেলের পাইপে পাচার সোনা

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, মায়ানমার থেকে মিজোরাম হয়ে একটি ছোট গাড়িতে সেই সোনা আসছিল শিলিগুড়িতে। এর আগেও একাধিকবার চোরাই সোনা ধরা পড়েছে শহরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:০৯
Share:

প্রতীকী চিত্র

ফের শিলিগুড়িতে উদ্ধার হল বিদেশি সোনা। সোমবার শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড়ের ঘটনা। সোনা পাচারের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা শাখা। মঙ্গলবার তাদের শিলিগুড়ি এসিজেএম আদালতে তোলা হলে একদিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। বুধবার ধৃতদের ফের আদালতে তোলার কথা। গ্রেফতার হওয়া দুই যুবক আমির খান এবং মহম্মদ ফিরোজ মিজোরামের বাসিন্দা।

Advertisement

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, মায়ানমার থেকে মিজোরাম হয়ে একটি ছোট গাড়িতে সেই সোনা আসছিল শিলিগুড়িতে। এর আগেও একাধিকবার চোরাই সোনা ধরা পড়েছে শহরে। কিন্তু গোয়েন্দাদের দাবি, এ বার গাড়ির তেলের পাইপের সঙ্গে জড়িয়ে সোনা পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল। এই কৌশল এই এলাকায় প্রথম। তদন্তকারীদের দাবি, উদ্ধার হওয়া সোনার পরিমাণ ২৫ কেজি ৭৬ গ্রাম। যার বাজারমূল্য প্রায় সওয়া দশ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা শাখার (ডিআরআই) আধিকারিকরা জানান, গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতেই হয়েছে অভিযান। সোমবার রাতে পৌনে ১২টায় দার্জিলিং মোড় এলাকায় কড়া নজরদারি শুরু করেন গোয়েন্দারা। একটি ছোট গাড়ি আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। কিছুক্ষণ পরে সেই গাড়ি তল্লাশি করে দেখা যায় গাড়ির পিছনের চাকার দিকে তেলের পাইপের সঙ্গে কাপড় দিয়ে জড়ানো রয়েছে সোনার বিস্কুট এবং কিছু সোনার বাট। গোয়েন্দারা জানান, সোনার বিস্কুট এবং বাটগুলিতে এমন চিহ্ন মিলেছে যা অস্ট্রেলিয়া এবং সুইজারল্যান্ডে তৈরি সোনার চিহ্ন। গত এক বছরের মধ্যে বেশ কয়েকবার একই পথে সোনা আনতে গিয়ে ধরা পড়েছে একাধিক অভিযুক্ত। গোয়েন্দারা জানান, মায়ানমার অথবা চিন থেকে ভারতের উত্তর-পূর্বের সীমান্ত হয়ে কোচবিহার পেরিয়ে শিলিগুড়ি আসে সোনা। সেখান থেকে কলকাতা, বিহার এবং দক্ষিণ ভারতের দিকেও চলে যায় চোরাই সোনা।

Advertisement

ডিআরআইয়ের আইনজীবী ত্রিদিব সাহা বলেন, ‘‘দুই যুবক দাবি করেছে, শিলিগুড়ির কাউকে সোনা দেওয়ার কথা ছিল তাদের। তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ দিন জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে তাদের একদিনের জেল হেফাজত দিয়েছেন বিচারক অভিষেক মান্না।’’

অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী অখিল বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা এর আগেও আদালতকে বলেছি, বার বার কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা শাখা শহরের মধ্যে থেকে গ্রেফতার করে বলছে পাচারের সোনা। অথচ মিজোরামের সীমান্ত থেকে শিলিগুড়ি ১ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। এতটা পথ বেরিয়ে চলে এল, কেউ দেখল না, ধরলও না।’’ অখিলবাবুর দাবি, তাঁর মক্কেলদের সোনা বেআইনি হলেও তা পাচারের নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন