শিশু পাচার তদন্তে চন্দনা চক্রবর্তীকে ঘিরে জাল ক্রমেই গুটিয়ে আনছে সিআইডি। বুধবার চন্দনা চক্রবর্তীর সংস্থা নর্থ বেঙ্গল পিপলস ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের দফতরে হানা দিলেন গোয়েন্দারা৷
জলপাইগুড়ি শিশু পাচার কাণ্ডে চন্দনাকেই সবার আগে গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে পাকড়াও হন তাঁর হোমের এক কর্মী সোনালি মণ্ডলও। তার পর থেকে তাঁর বিভিন্ন অফিসে হানা দিয়ে নথি সংগ্রহ করছে সিআইডি। একই সঙ্গে চলছে লাগাতার জেরাও। এরই মধ্যে একে একে গ্রেফতার করা হয়েছে চন্দনার ভাই মানস ভৌমিক, দুই সরকারি আধিকারিক সস্মিতা ঘোষ ও মৃণাল ঘোষ এবং বিজেপির যুব নেত্রী জুহি চৌধুরীকে।
গোয়েন্দা সূত্রের বক্তব্য, এক দিকে যেমন এঁদের জেরা করে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, অন্য দিকে বিভিন্ন অফিসে হানা দিয়ে নথি বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। একই ভাবে বুধবার সন্ধ্যায় সিআইডি-র একটি দল জলপাইগুড়ির ৪ নম্বর ঘুমটির কাছে চন্দনার সংস্থার দফতরে হানা দেয়৷
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সংস্থার কয়েক জন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি সেখান থেকেও বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করে তারা৷ শিশু বিক্রির জাল কতদূর ছড়িয়েছে এবং হোমের সঙ্গে জড়িতরা ছাড়াও বাইরের আর কে কে এর সঙ্গে জড়িতে রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সংস্থা থেকে প্রাপ্ত নথি থেকে ঘটনায় জড়িতদের নানা আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ থাকতে পারে বলে আশা তদন্তকারীদের।