বাবা পাঁচ বছর ধরে মূর্তি কেনার টাকা দিয়ে আসছেন। ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল মদ্যপ অবস্থায় সেই মূর্তি ভাঙচুরের। রবিবার তথা অষ্টমীর রাতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিকদের পুজো মণ্ডপের এই ঘটনায় অভিযুক্ত জয়দেব ওরফে মহেন্দ্র সিংহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মহেন্দ্রর বাবা যোগেশচন্দ্র সিংহ পাঁচ বছর ধরে মূর্তির দাম দিয়ে আসছেন। অষ্টমীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় মহেন্দ্র চার সঙ্গীকে নিয়ে মণ্ডপে ঢুকে গোলামাল শুরু করেন বলে অভিযোগ। তা নিয়ে কয়েক জনের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। লোকজন তাঁকে মণ্ডপ ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এতে খেপে গিয়ে মহেন্দ্র ভাঙচুর শুরু করেন বলে অভিযোগ। পুজো কমিটির কয়েক জন সদস্য জানান, বাবা মূর্তির দাম দিয়েছেন, তাই কেন তিনি মণ্ডপ ছেড়ে যাবেন— এ কথা বলে চিৎকার করতে থাকেন মহেন্দ্র। কিছুক্ষণ তাণ্ডব চালানোর পরে তিনি সেখান থেকে চলে যান বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রের খবর, মহেন্দ্র জমির ব্যবসা করে। সকালে প্রতিমাগুলির অবস্থা দেখে আবাসিকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। যোগেশের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। অভিযুক্তের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, এর পিছনে নিশ্চয়ই কোনও ষড়যন্ত্র আছে। শেষে শিবমন্দিরের একটি বাড়ি থেকে মহেন্দ্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মহেন্দ্র কিছু বলতে চাননি। যোগেশ দাবি করেন, রাতে বন্ধুদের সঙ্গে মহেন্দ্র পুজো দেখতে বার হয়েছিলেন। তার পরে কী হল, বোঝা যাচ্ছে না। এর পরে বাসিন্দারা নতুন মূর্তি এনে নবমীর পুজো শুরু করেন।