Dengue

ডেঙ্গির দায় নিয়ে তরজা

পুরসভার বিরোধী তৃণমূল কাউন্সিলরদের অভিযোগ, শহরে ডেঙ্গি সংক্রামক হলেও পুর-কর্তৃপক্ষ উদাসীন। পুরবোর্ড যথাযথ পদক্ষেপ করলে রোগের প্রকোপ এত হতো না। অন্যদিকে, বাম বোর্ডের মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের দাবি, রোগ নিয়ে সচেতনতা প্রসারে অর্থ বরাদ্দ করতেও রাজ্য সরকার শিলিগুড়িকে বঞ্চিত করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

শহরে ডেঙ্গির প্রকোপ চলছেই। হাসপাতাল-নার্সিংহোমে জ্বরে আক্রান্তদের ভিড় কমেনি। এই পরিস্থিতিতে শনিবার শিলিগুড়ি পুরসভার বোর্ড মিটিংয়েও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রোগ সংক্রমণের দায় নিয়ে শাসক-বিরোধীদের পারস্পরিক দোষারোপ চলল।

Advertisement

পুরসভার বিরোধী তৃণমূল কাউন্সিলরদের অভিযোগ, শহরে ডেঙ্গি সংক্রামক হলেও পুর-কর্তৃপক্ষ উদাসীন। পুরবোর্ড যথাযথ পদক্ষেপ করলে রোগের প্রকোপ এত হতো না। অন্যদিকে, বাম বোর্ডের মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের দাবি, রোগ নিয়ে সচেতনতা প্রসারে অর্থ বরাদ্দ করতেও রাজ্য সরকার শিলিগুড়িকে বঞ্চিত করেছে। যার ফলে সীমিত পরিকাঠামো নিয়েও পুরকর্তৃপক্ষকে লড়াই চালাতে হচ্ছে। পুজোর পরে প্রাপ্য অর্থের দাবিতে পুরমন্ত্রীর কাছে দরবার করার ঘোষণা করেছেন মেয়র। বিরোধী কাউন্সলিরদেরও সঙ্গী হতে আর্জি জানিয়েছেন মেয়র।

এ দিন মিটিংয়ের শুরুতেই বিরোধী কাউন্সিলর কৃষ্ণ পাল শহরের চর্তুদিকে আবর্জনা জমে রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন সরকারের অভিযোগ, ময়লা সরাতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে গাড়িও দিচ্ছে না পুর-কর্তৃপক্ষ। কোন ওয়ার্ডে কতজন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন, কোন বাড়ি অথবা এলাকায় রোগের প্রকোপ বেশি তা নিয়ে পুরসভা সমীক্ষা হচ্ছে। সেই সমীক্ষা রিপোর্ট যথাসময়ে কাউন্সিলররা জানতে পারছেন না বলেও অভিযোগ। তৃণমূল কাউন্সিলর নান্টু পালের প্রশ্ন, ‘‘কলকাতার মেয়রকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশার লার্ভা খুঁজে ধ্বংস করতে আমরা দেখেছি। কিন্তু শিলিগুড়ির মেয়র জেগে ঘুমোচ্ছেন।’’ ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মানিক দে-র কটাক্ষ, ‘‘জলপাইগুড়িতে পুরসভা শুয়োর হঠাও অভিযান করছে। শিলিগুড়িতে কিছুই হল না।’’

Advertisement

মেয়র অশোকবাবুর দাবি মাসখানেক ধরে পুরসভা লিফলেট ছড়িয়ে সচেতনতা প্রসার করছে। বিভিন্ন আবাসন, নির্মীয়মান ভবনে গিয়েও অভিযান হয়েছে। খোলা জায়গায় জল যাতে না জমে তা দেখতে সব ওয়ার্ড পরিদর্শনও হয়েছে। পুজোর দিনগুলিতেও মেয়রের অফিস এবং পুরসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক সেল খোলা থাকবে। সিপিএম কাউন্সিলর স্নিগ্ধা হাজরার অভিযোগ, ‘‘রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা মশা মারতে যা যা করছে বলে দাবি করছে, আদতে তার কিছুই হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন