শিলিগুড়িতে ডেঙ্গি নেই, ওটা ভাইরাল জ্বর: চন্দ্রিমা

শহরে ডেঙ্গি সেরকম হয়নি। এমনটাই বললেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শুক্রবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনে আসেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:২৫
Share:

ভোগান্তি: লিফ্‌ট সারাই হচ্ছে। সিঁড়ি দিয়ে তুলতে হচ্ছে রোগীদের। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র

শহরে ডেঙ্গি সেরকম হয়নি। এমনটাই বললেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শুক্রবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনে আসেন তিনি। তখনই তিনি বলেন, ‘‘শিলিগুড়িতে ডেঙ্গি না থাকার মতোই। যা হয়েছে তা ভাইরাল জ্বর। আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি।’’ পাশাপাশি জ্বর পরিস্থিতির দিকে পুরসভার আরও নজর দেওয়া উচিত বলে তিনি জানান। এ দিন শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল ঘুরে দেখেন তিনি।

Advertisement

এ দিন শিলিগুড়ির হাসমিচকে পূর্ত দফতরের বাংলোতে উত্তরের বিভিন্ন জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকও করেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করার জন্য পরিকল্পনা করতেই বৈঠক ডেকেছিলাম। যা আলোচনা হয়েছে সেটা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করব।’’ সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করার পরে মেডিক্যাল ঘুরে দেখেন তিনি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বৈঠকে কলেজের চিকিৎসকদের একাংশ মন্ত্রীকে বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসকের সংখ্যা কম। কলকাতা থেকে অনেকেই এদিকে আসতে চান না। তখন মন্ত্রী বলেন ‘‘এর সমাধানসূত্র আপনাদের খুঁজে বের করতে হবে।’’ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের করিডর তৈরির টাকা বরাদ্দ হলেও তা খরচ করতে না পারায় সেটা ফেরত চলে গিয়েছে কেন তা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য, কলেজের অধ্যক্ষ সমীর ঘোষ রায় ও অন্য চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।

এ দিন বিকেলে বৈঠকের পরই তিনি শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে এসে মহিলা মেডিসিন, পুরুষ মেডিসিন ছাড়াও প্রসূতি বিভাগ পরিদর্শন করেন। হাসপাতালের করিডরে দাঁড়িয়ে থাকা রোগীদের পরিজনদের কাছে জানতে চান, সমস্ত পরিষেবা ঠিক রয়েছে কি না। হাসপাতালে ওষুধ ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে কিনা, জানতে চান। হাসপাতালের লিফ্‌ট খারাপ থাকায় সিঁড়ি দিয়ে হাসপাতালের তিনতলায় উঠে বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

Advertisement

সম্প্রতি শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে দু’বার লিফ্‌ট আটকে গিয়েছিল। চরম ভোগান্তিতে পড়েছিলেন রোগীরা। তার জন্য এ দিন লিফ্‌ট ঠিক করার কাজ চলছিল। এর ফলে সমস্যায় পড়েন রোগীরাও। সিঁড়ি গিয়ে রোগীদের ওঠাতে হয়রানি পোহাতে হয় পরিজনদের। হাসপাতালে আসা এক রোগীর আত্মীয় সুজন সরকার বলেন, ‘‘মায়ের পেট ব্যাথা হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম। কোলে করেই মাকে নিয়ে যেতে হচ্ছে।’’

হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘‘শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রীকে নতুন লিফ্‌টের জন্য বলেছি। বরাদ্দ মিললেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন