child

জন্মাবধি পরিত্যক্ত, দত্তক নিলেন আমেরিকার দম্পতি, নতুন মা, বাবার সঙ্গে আমেরিকা উড়ে যাবে কলি

কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান জানান, দত্তক আইন মেনে আমেরিকার দম্পতি প্রথমে কলিকে পছন্দ করেন। তার পর প্রশাসন সমস্ত রকম খোঁজখবর নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৩ ২১:৩২
Share:

ছোট্ট কলি নতুন মা, বাবার সঙ্গে পাড়ি দেবে আমেরিকা। — নিজস্ব চিত্র।

জন্মের পরেই বাবা, মা তাকে পরিত্যাগ করেন। তার পর থেকে কখনও হাসপাতালে, আবার কখনও হোমে— তিন বছরের কলির জীবন ছিল অনিশ্চয়তায় ঘেরা। কোচবিহারের সেই শিশুকেই দত্তক নিচ্ছেন আমেরিকার এক দম্পতি। মে মাসের শুরুতেই কলি নতুন মা, বাবার সঙ্গে উড়ে যাবে সাত সাগরের পারে।

Advertisement

জন্মদাতা মা-বাবা তাকে হাসপাতালের বাইরে ফেলে দিয়ে চলে যান। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সদ্যোজাতকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছিল কোচবিহারের তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে। চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠে শিশুটি। তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীরা বহুদিন হাসপাতালের মধ্যেই তাকে লালন পালন করেন। তাঁরাই ওই ছোট্ট শিশুর নাম রাখেন কলি। তারপর কলিকে দিয়ে আসা হয় কোচবিহারের একটি হোমে।

সেই কলি আজ তিন বছরের। সেই কলিকেই দত্তক নিতে চলেছেন আমেরিকার এক দম্পতি। মে মাসের ৭,৮ তারিখ নাগাদ দম্পতি ভারতে আসছেন। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই দম্পত্তির সম্বন্ধে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়াও সম্পন্ন। অনলাইন পোর্টালে কলিকে পছন্দ করেছিলেন দম্পতি। আমেরিকার ওই দম্পতির পছন্দ ভারতীয় সংস্কৃতি। তাই ভারতীয় শিশুকেই দত্তক নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। অবশেষ সাধ পূরণ।

Advertisement

কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান জানান, কোচবিহারে এ রকম ঘটনা এই প্রথম। দত্তক নেওয়ার আইন মেনে আমেরিকার দম্পতি কলিকে অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে পছন্দ করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম খোঁজখবর নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। শিশুর পাসপোর্ট তৈরির কাজও চলছে।

কলিকে দত্তক নিচ্ছেন যাঁরা সেই যুগলের স্বামী চিকিৎসক। তাঁর স্ত্রী একটি জিমে প্রশিক্ষকের কাজ করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন