জমি শক্ত করতে উত্তরবঙ্গে আসছেন অমিতও

পঞ্চায়েত ভোটের এখনও দেরি। কিন্তু বিজেপির তর সইছে না। এক ঝাঁক বড় মাপের নেতা, মন্ত্রীকে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গে পায়ের তলার মাটি আরও শক্ত করার কাজ শুরু করে দিয়েছে বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২৮
Share:

নেতৃত্বে: বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।

পঞ্চায়েত ভোটের এখনও দেরি। কিন্তু বিজেপির তর সইছে না।

Advertisement

এক ঝাঁক বড় মাপের নেতা, মন্ত্রীকে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গে পায়ের তলার মাটি আরও শক্ত করার কাজ শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। তাদের খোদ সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহও আসবেন বলে বিজেপি সূত্রে দাবি করা হয়েছে। ২৫ এপ্রিলই বিজেপি সভাপতির শিলিগুড়ি এবং নকশালবাড়িতে যাওয়ার কথা। সেখানে তিনি বাড়ি-বাড়ি ঘুরে প্রচার করবেন বলে ঠিক রয়েছে। সেই সঙ্গে, উত্তরবঙ্গের আইনজীবী, শিক্ষক ও চিকিৎসকদের মধ্যে অন্তত ৩০০ জন অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে খোলামেলা কথাও বলতে চান অমিত। সেই মতো এই ধরনের বিভিন্ন পেশার ১০০ জনকে বাছাই করে তালিকাও তৈরি হয়ে গিয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক তথা উত্তরবঙ্গের পর্যবেক্ষক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দল কী চাইছে, তা সব ক’টি সভায় বলা হচ্ছে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতিও সব বলবেন।’’

চলতি মাসের শুরুতে জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে দু’বার করে সভা করেছেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ১৩ এপ্রিল এসে দু’দিন জলপাইগুড়িতে ঘাঁটি গেড়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার। চলতি মাসের শেষে রেলের প্রতিমন্ত্রী মনোজ সিংহ বা রাজেন গোহাইনের মধ্যে এক জন জলপাইগুড়িতে আসতে পারেন৷ নববর্ষের দু’দিন আগে রায়গঞ্জের রেল ময়দানে জনসভা করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ফগ্গন সিংহ কুলস্তে। মালদহে সভা করেছেন দু’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা দফতরের প্রতিমন্ত্রী রাও ইন্দ্রজিৎ সিংহ এবং বিদেশ দফতরের প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর। কোচবিহারে সভা করেছেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। নববর্ষের দিন বীরপাড়ায় কর্মিসভায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাংসদ অলোক সঞ্জার।

Advertisement

বিজেপির দাবি, আশু লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোট। দলের নেতাদের ব্যাখ্যা, তৃণমূল বিরোধী দলগুলি অর্থাৎ বাম এবং কংগ্রেসের ভিত দক্ষিণবঙ্গের থেকে উত্তরে মজবুত। কিন্তু, গত বিধানসভা ভোটে মাদারিহাট ও মালদহে দুটি আসন বিজেপির দখলে গিয়েছে। সম্প্রতি কোচবিহারে লোকসভা উপনির্বাচনে বিজেপি বাম-কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় হয়েছে। দলীয় নেতৃত্ব মনে করছেন, এখানে ভাল ফল করা সম্ভব। তাই পালে বাতাস টানতে প্রচারে নামানো হয়েছে নেতা-মন্ত্রীদের, দাবি দলেরই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement