দিনে: তখন বন্ধ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাস্তায় দেখে ম্যালে কিছুটা স্বাভাবিক জীবনেরই ছন্দ। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
পটনার তাপমাত্রা পারদ যেন কয়েকদিন ধরে লাফিয়ে বাড়ছিল। তাই সদলবলে ছুটি নিয়ে দার্জিলিং যাব ভেবেই ট্রেনে উঠি। এনজেপিতে পৌঁছে মনে হচ্ছে এই ভোগান্তির থেকে পটনার গরমে সেদ্ধ হওয়াই বুঝি ভাল ছিল।
স্টেশনে পৌঁছেই বুঝতে পারলাম বেগতিক যা তাতে পাহাড়ে না যাওয়াই ভাল। শিলিগুড়ি থেকে টয়ট্রেনে দার্জিলিং যাওয়ার কথা ছিল। সেই ট্রেনও বাতিল হয়েছে। প্ল্যাটফর্ম থেকে বের হয়ে কাছেই দু’টি সহায়তা কেন্দ্র দেখলাম। সেখানে গিয়ে জানলাম, পাহাড়ে যাওয়ার গাড়ি রয়েছে, ডুয়ার্সে যাওয়ারও গাড়ি রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হল যাবটা কোথায়? কোথাও কোনও হোটেল ফাঁকা রয়েছে কি না, সহায়তা কেন্দ্র থেকে জানাতে পারল না। পর্যটনের সহায়তা কেন্দ্রে গিয়ে শুনলাম ডুয়ার্সের সব সরকারি অতিথি নিবাস ভর্তি। অগত্যা ফিরে যাব বলে মনস্থ করলাম।
তাতেও সমস্যা। টিকিট কোথায়? কোন ট্রেনে ফিরব? আমাদের সঙ্গে মহিলা-শিশু রয়েছে তাদের নিয়ে কী প্ল্যাটফর্মে রাত কাটাব? কেউ উত্তর দিতে পারলেন না।
বিপত্তির এখানেও শেষ নয়। যত বেলা বাড়ছে সকলেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন, খিদে পাচ্ছে। দু’বার মহিলারা লাইন দিয়ে স্টেশনের শৌচাগারে গিয়েছেন। কিন্তু সব খাবারের দাম দ্বিগুণ। স্টেশনের আশেপাশে অনেক হোটেল রয়েছে কিন্তু সে সব তো ভিড়ে ঠাসা। দার্জিলিঙে হোটেল ভাড়া করা ছিল সেই টাকাও ফেরত পাব বলে মনে হচ্ছে না। ঠিক করেছি আজ রাত প্ল্যাটফর্মেই কোনও মতে কাটিয়ে আগামীকাল সকালে বাস ধরে পটনাতেই ফিরে যাব। ঘুরতে এসে যা ঘটল তাতে এর পরে কোনও ছুটিতেই পাহাড়ে আসার কথা আর ভাবব না।