woman

Husband-Wife: অ্যাপে জুটি বেঁধে গান, প্রেম-বিয়ে, হঠাৎ উধাও স্বামীর খোঁজে ধূপগুড়ি চষছেন তরুণী

লকডাউনের সময় ফেসবুকের মাধ্যমে সুভাষের সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয়। দু’জনে একটি অনলাইন অ্যাপে জুটি বেঁধে গানও গেয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:৩৭
Share:

সুভাষচন্দ্র দাসের ছবি নিয়ে ধূপগুড়িতে পিঙ্কি। নিজস্ব চিত্র

অনলাইন অ্যাপে জুটি বেঁধে দ্বৈত সঙ্গীত গেয়েছিলেন। সেই থেকে শুরু। এর কিছু দিনের মধ্যেই ভার্চুয়াল জগতের সেই জুড়ি বাস্তবেও পথ চলতে শুরু করেছিল হাত ধরাধরি করে। কিন্তু তাল কাটল আচমকা। আচমকা উধাও হয়ে গিয়েছেন স্বামী। তার পর থেকে তাঁকে খুঁজে চলেছেন স্ত্রী। এমনটাই দাবি বিধাননগরের বাসিন্দা পিঙ্কি সাহার। স্বামী সুভাষচন্দ্র দাসের খোঁজে তিনি এখন পৌঁছে গিয়েছেন উত্তরবঙ্গের ধূপগূড়িতে। সুভাষের ছবি এবং যোগাযোগের নম্বর দিয়ে পোস্টার সাঁটছেন দেওয়ালে দেওয়ালে।
পিঙ্কির কথায়, ‘‘লকডাউনের সময় ফেসবুকের মাধ্যমে সুভাষের সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয়।’’ এর পর দু’জনে একটি অনলাইন গানের অ্যাপে জুটি বেঁধে গানও গেয়েছিলেন। তার পর থেকেই মিলে যেতে থাকে একে অপরের সুর। সেই সময় দু’জনের সামনাসামনি দেখা হয়নি বলেই জানিয়েছেন পিঙ্কি। এর পর গত বছর অগস্টে দু’জনের দেখা হয়। পিঙ্কির দাবি, সেই সময়েই কালীঘাটে গিয়ে মালাবদল করে বিয়ে করেন তাঁরা। পার্ক সার্কাসে নতুন করে সংসার পাতেন তাঁরা।

Advertisement

পিঙ্কির দাবি, সব কিছু মসৃণ চলছিল। কিন্তু আচমকাই ঘটে ছন্দপতন। তাঁর অভিযোগ, গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে পার্ক সার্কাসের বাড়িতে সুভাষ আর ফেরেননি। তাঁর মোবাইলেও যোগাযোগ করা যায়নি। এর পর স্বামীর খোঁজে তপসিয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন পিঙ্কি। পুলিশ সূত্রে তিনি জানতে পারেন, সুভাষের মোবাইলের শেষ লোকেশন ধূপগুড়ি থেকে গয়েরকাটার মাঝে দেখা গিয়েছে। সেই সূত্র ধরেই এক সপ্তাহ ধরে ধূপগুড়িতে ঘাঁটি গেড়েছেন পিঙ্কি এবং তাঁর দাদা। স্বামী সুভাষকে খুঁজছেন ওই তরুণী। সুভাষের ছবি এবং মোবাইল নম্বর দেওয়া পোস্টার শহরের বিভিন্ন জায়গায় সাঁটছেন তাঁরা। সুভাষের খোঁজে চষে ফেলছেন গোটা শহর।

বাংলায় এমএ পাশ করেছেন পিঙ্কি। তাঁর কথায়, ‘‘এক বার সামনাসামনি দাঁড়াতে চাইছি। নিজেকে প্রতারিত ভাবব না কি বোকা তা বুঝতে পারছি না। তবে এত কিছুর পরেও ওকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আসলে ফেসবুকের ওয়ালে লেখা প্রেমের কথাগুলো মনের দেওয়ালেও দাগ কেটে গিয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement