রয়্যাল-কাণ্ড কোচবিহারে

ধৃতদের ঘিরে ক্ষোভ আদালতে

আদালত চত্বরে আমানতকারীর তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অর্থলগ্নি সংস্থা রয়্যাল ইন্টারন্যাশনালের চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর অর্চনা সরকার ও তাঁর বোন নীলিমা দে (সরকার)। সোমবার ওই দু’জনকে কোচবিহার জেলা আদালতে তোলা হয়। ওই খবর আগাম জানাজানি হয়ে যাওয়ায় সকাল থেকে দলে দলে শতাধিক আমানতকারী সাগরদিঘি পাড় লাগোয়া জেলা আদালত চত্বরে জমায়েত হন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৪ ০২:১৯
Share:

আদালতের পথে ধৃত অর্চনা সরকার (পিছনে) ও নীলিমা দে সরকার।

আদালত চত্বরে আমানতকারীর তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অর্থলগ্নি সংস্থা রয়্যাল ইন্টারন্যাশনালের চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর অর্চনা সরকার ও তাঁর বোন নীলিমা দে (সরকার)। সোমবার ওই দু’জনকে কোচবিহার জেলা আদালতে তোলা হয়। ওই খবর আগাম জানাজানি হয়ে যাওয়ায় সকাল থেকে দলে দলে শতাধিক আমানতকারী সাগরদিঘি পাড় লাগোয়া জেলা আদালত চত্বরে জমায়েত হন। দুপুর সওয়া ১টা নাগাদ পুলিশ ধৃতদের আদালত চত্বরে নিয়ে আসা হলে আমানতকারীরা সেখানে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। অভিযুক্তদের কোনও মতে কোর্ট লক-আপে নিয়ে যায় পুলিশ। দুপুর আড়াইটে নাগাদ সেখান থেকে ধৃতদের আদালত ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। কোচবিহার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে তোলা হলে ভারপ্রাপ্ত সিজেএম অভিজি পাখরিন দুই অভিযুক্তকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। আদালত চত্বরে প্রশ্ন করা হলে অর্চনা দেবী বা নীলিমা দেবী মন্তব্য করতে চাননি।

Advertisement

এ দিন আমানতকারীদের সংগঠন রয়্যাল আমানতকারী বাঁচাও সমিতি কোচবিহারের জেলাশাসক, সদরের মহকুমা শাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেয়। ধৃতদের নামে ৪২০ ধারায় প্রতারণা, ৪০৬ ধারায় আত্মসাৎ এবং ১২০ (বি) ধারায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। কোচবিহারের বাসিন্দা ঝুমা দে নামে এক এজেন্ট চার লক্ষ ২০ হাজার টাকা জমা দিয়ে ফেরত না পাওয়ায় যে অভিযোগ জানান, তারই ভিত্তিতে ওই মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেছেন, “অন্য সব প্রতারণার অভিযোগ ওই মামলার সঙ্গে যুক্ত করে তদন্ত হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement