Bimal Gurung

বিনয়কে নেতা মানতে হবে: অনীত

এ দিন দুপুরে কার্শিয়াং স্টেশনের পাশে মোটরস্ট্যান্ডে জনসভা করেন অনীত। সেখানে গুরুং, রোশন গিরি নামে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২০ ০৭:০৫
Share:

পাল্টা: কার্শিয়াংয়ের জনসভায় অনীত থাপা। নিজস্ব চিত্র।

পাহাড়ে এসে থাকতে গেলে নিজেদের শুদ্ধকরণ করে বিনয় তামাংকে নেতা হিসেবে মানতে হবে— কার্শিয়াংয়ের পাল্টা সভা থেকে বিমল গুরুং, রোশন গিরিকে মঙ্গলবার এই বার্তা দিলেন জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা। এ দিন দুপুরে কার্শিয়াং স্টেশনের পাশে মোটরস্ট্যান্ডে জনসভা করেন অনীত। সেখানে গুরুং, রোশন গিরি নামে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। আগামী দিনে যে নিজেদের শক্তি এই ভাবেই জাহির করবেন, তা-ও এ দিন স্পষ্ট করে দেন। তবে অনীতের মূল কথা, গত তিন বছরে পাহাড়ে যে শান্ত ও উন্নয়নমুখী হয়েছে, তার উপররে তিনি কোনও কালো ছায়া পড়বে দেবেন না। অনীত বলেন, এই বিষয়টা সরকারকেও মাথায় রাখতে হবে।

Advertisement

অনীত এ দিন আবারও বলেছেন, ‘‘কাউকে পাহাড়ে আসতে বাধা দেব না। আমরা কিছু বলিনি বলেই রোশনরা সভা করতে পেরেছেন। আমরা ওঁদের মতো রাজনীতি আর করি না। রোশনের বাড়ি তো দার্জিলিং। কই সেখানে তো সভা করলেন না উনি?’’ এর পরেই জিটিএ চেয়ারম্যানের সংযোজন, ‘‘বিনয় তামাং বিজেপিকে সাড়ে তিন বছর আগে হিংসামুক্ত নতুন পাহাড় গড়ার কাজে নেমে গিয়েছেন। গুরুং এত দিনে বিজেপিকে ছেড়েছেন। এখন তাই নিজেকে পাল্টে উন্নত চিন্তায় এগিয়ে থাকা বিনয়কেই নেতা মানতে হবে।’’ বিমলপন্থীরা অবশ্য এদিনের পাল্টা কোনও বক্তব্য রাখেনি।

৬ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে আসার কথা বিমল গুরুংয়ের। শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্ক বা অন্য কোনও মাঠে সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। এ দিন কার্শিয়াং থেকে অনীত জানান, ডিসেম্বরে সমতলের সুকনা বা লাগোয়া কোথাও তাঁরাও লক্ষাধিক মানুষের সমাগম করে সভা করবেন। তাঁর কথায়, ‘‘সুবাস ঘিসিং মারা গেলেও ওঁর অনুগামীরা আছেন। তেমনিই, গুরুংয়ের কিছু অনুগামী পাহাড়ে আছেন। ওঁদের আমরা বোঝাব, ওই নেতারা চা, পর্যটন ধবংস করা, হোটেল-গাড়ি বন্ধ করা, বন্‌ধের রাজনীতি করা নেতা। কার্শিয়াঙে অনীতকে গালি দিতে হবে বলে সভা করেছে। তিন বছরে গুরুং, রোশনের স্বভাবই পাল্টায়নি।’’

Advertisement

রোশন গিরি গত দিন অভিযোগ করেছিলেন, জিটিএ-র অডিট হয় না। একই দাবি করেছেন রাজ্যপালও। এ দিন অনীত জানান, জিটিএ-তে এখন সব ধরনের অডিট প্রতি বছর হয়। এখন সব ই-টেন্ডার, ই-ফাইলিং। অনীতের কথায়, ‘‘রাজ্য সব জানে। আর অডিট হোক বলে কারা দাবি তুলছে, যারা ২০১৭ সালে অডিটের ভয়ে আন্দোলন করেছিল। নথিপত্র পুড়িয়ে পালিয়েছিল। ওই সময় আমিও জিটিএ সদস্য ছিলাম। আমি সবটাই জানি।’’ রাজ্যপাল পাহাড়ে অশান্তির আশঙ্কাও করেছেন। এ দিন তিনি এক মাসের পাহাড় সফর সেরে কলকাতায় ফিরলেন। ফেরার পথে মালদহ স্টেশনে তিনি রাজ্যের বিরুদ্ধে স্বভাবসিদ্ধ ভাবে নানা অভিযোগ করেন। তখন পাহাড়ের কথা, জিটিএ-তে অডিটের কথাও বলেন। এই প্রসঙ্গে অনীত বলেছেন, ‘‘যাঁরা অডিট অডিট করছে, তাঁরা জানেন না। জিটিএতে প্রতি বছর অন্তর্বর্তী অডিট, সরকারি অডিট হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন