Threat Call To TMC Leader

কৃষ্ণেন্দুকে খুনের হুমকি দিয়ে মালদহে ধৃত আরও এক, যিনি সিম কার্ড দেন ‘ডি কোম্পানি’র ‘প্রদীপ’কে

শনিবারই পুলিশ কৃষ্ণেন্দু এবং তাঁর পরিবারকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ‘ডি কোম্পানি’র ‘প্রদীপ’ বলে দাবি করা ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তের নাম শাহদাত শেখ। তিনি মালদহের বাসিন্দা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:৪২
Share:

(বাঁ দিকে) কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। ফোনে পাঠানো সেই হুমকি-বার্তা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে ফোন করে অর্থ দাবি এবং খুনের হুমকির ঘটনায় আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম ওয়াসিম আক্রম।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ‘ডি কোম্পানি’র ‘প্রদীপ’ বলে যে ব্যক্তি নাম ভাঁড়িয়ে তৃণমূল নেতাকে ফোন করেছিলেন, তাঁকে সিম কার্ড দিয়ে সাহায্য করেন ওই ওয়াসিম। ষড়যন্ত্রে তিনিও শামিল বলে মনে করছে পুলিশ। আদতে কালিয়াচক থানার মসিনপুরের বাসিন্দা ওই যুবক। মূল অভিযুক্ত শাহাদত আলির সঙ্গে তাঁর কী রকম সম্পর্ক ছিল, কী ভাবে এবং কেন ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যানকে তাঁরা হুমকি দিয়েছিলেন, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

শনিবারই পুলিশ কৃষ্ণেন্দু এবং তাঁর পরিবারকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ‘ডি কোম্পানি’র ‘প্রদীপ’ বলে দাবি করা ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তের নাম শাহদাত। তিনি মালদহের বাসিন্দা।

Advertisement

শুধুমাত্র ওই হুমকি-ফোন করতে মালদহ থেকে কলকাতা গিয়েছিলেন। যাতে সহজে তাঁকে ধরা-না যায়, সে জন্য কৃষ্ণেন্দুর সঙ্গে ফোনে হিন্দিতে কথা বলেছিলেন। ওই ফোনের পর আবার মালদহে ফেরেন কালিয়াচকে শাহদাত। হুমকি-ফোনের জন্য আলাদা একটি সিম কার্ড জোগাড় করেছিলেন ওই যুবক এবং তাঁর সঙ্গীরা। অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন বিহারের বাসিন্দাও রয়েছেন। শাহদাতের মা অবশ্য দাবি করেছেন, ছেলে নির্দোষ। শাহদাত কলকাতা গিয়েছিলেন চিকিৎসা করাতে। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, ঋণের টাকা জোগাড়ের জন্য ওই কাজ করেছেন যুবক।

অন্য দিকে, কৃষ্ণেন্দু মনে করেন, তাঁকে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে, জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে ভয়ের আবহ তৈরির জন্য। কারণ, এর আগে ইংরেজবাজারের এক কাউন্সিলর দুলাল সরকার ওরফে বাবলা খুন হয়েছেন। তৃণমূলের অন্দরেও ছোটখাটো অশান্তি হয়েছে। সেটারই সুবিধা নিতে চাইছেন কেউ কেউ বলে দাবি ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যানের। তাঁর কথায়, ‘‘আমার মনে হয়, তৃণমূলকে ‘প্যানিক’ করার জন্য এ সব করা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement