Robinson Street

Jalpaiguri: তিন দিন স্বামীর দেহ আগলে স্ত্রী, তাঁর বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ জলপাইগুড়িতে

জলপাইগুড়়ি শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। অজিতের বা়ড়ি থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়তেই কোতোয়ালি থানায় খবর দেন পড়শিরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২২ ২০:৪৭
Share:

এই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে অজিতের দেহ

কলকাতার রবিনসন স্ট্রিট-কাণ্ডের ছায়া এ বার জলপাইগুড়ির কোতোয়ালিতে। স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর দেহ তিন-চার দিন ধরে আগলে রাখলেন স্ত্রী। এই কাজে তাঁর সঙ্গী হলেন মেয়েও। মৃতের নাম অজিত কর্মকার (৮০)। প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের দাবি, মা-মেয়ে মিলেই খুন করেছেন অজিতকে। খুনে অভিযুক্ত মা ও মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

জলপাইগুড়ি শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। অজিতের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়তেই কোতোয়ালি থানায় খবর দেন পড়শিরা। তাঁদের দাবি, অনেক দিন ধরেই অজিতকে দেখা যায়নি এলাকায়। তার পর পচা গন্ধ বেরোতেই সন্দেহ হয়। আত্মীয়দের অভিযোগ, অজিতকে খুন করে বাড়িতে রেখে দিয়েছিলেন স্ত্রী অঞ্জলি কর্মকার ও মেয়ে অনিন্দিতা কর্মকার।

দাদা অজিতকে খুন করার অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যেই ভাইঝি অনিন্দিতাকে জুতোপেটা করেন মৃতের বোন গীতা কর্মকার। তাঁর অভিযোগ, স্ত্রী ও মেয়ে মিলে অজিতের উপর শারীরিক অত্যাচার চালাতো। তাঁর কথায়, ‘‘বাবা ছোটবেলায় মারা যাওয়ার পর দাদাই সংসারের ভার নিয়েছেন। দাদা এই বাড়িতে অত্যাচারিত হয়ে প্রায়ই আমার বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি করতেন। দাদাকে বৌদি আর ভাইঝি মিলেই মেরে ফেলেছে।’’

Advertisement

মৃতের ভাইপো অমিত কর্মকারের অভিযোগ, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে আমার জেঠুর উপর অত্যাচার চালাতো ওঁরা। পুলিশকেও জানানো হয়েছিল। আমাদের সঙ্গে জেঠুকে কথা বলতে দেখলেই মারধর করা হত।’’

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে অজিতের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃতের স্ত্রী ও মেয়েকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের বক্তব্য, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর তারকনাথ দাস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন