থমকে: বীরপাড়ায় আটকে রয়েছে ট্রাক। নিজস্ব চিত্র
মোর্চার অনির্দিষ্টকালের বনধের জেরে পাহাড়ের বাসিন্দাদের কাছে খাবার, ওষুধ, শিশুখাদ্য পৌঁছচ্ছে না। বিভিন্ন অফিসে কর্মীদের বেতন মিলছে না। বাসিন্দাদের অধিকার নষ্ট হচ্ছে। সরকারের তরফে কেন সেগুলি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না? নাকি সরকারকে করতে দেওয়া হচ্ছে না, বাধা দেওয়া হচ্ছে? এ সব সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার পাহাড়ে যাবেন অ্যাসোসিয়েশন অব প্রোটেকশন অব ডেমোক্রেটিক রাইট (এপিডিআর)-এর দশ সদস্যের প্রতিনিধিদল।
বুধবার শিলিগুড়িতে সংগঠনের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। সংগঠনের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক ধীরাজ সেনগুপ্ত, প্রণব সেন, আলতাফ আহমেদ, শিলিগুড়ি শাখার সভাপতি অসীম চক্রবর্তীরা থাকবেন ওই দলে।
তাদের তরফে জানানো হয়, পাহাড়ে গোলমালে যারা মারা গিয়েছেন তারা পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। পুলিশ অবশ্য তা অস্বীকার করছে। ধীরাজবাবুর অভিযোগ, ‘‘তাঁরা কী পুলিশের গুলিতেই মারা গিয়েছেন? গুলি চালানোর ভিডিও ফুটেজ রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তা নিয়ে খোঁজ নেব আমরা। কথা বলব বিভিন্ন লোকের সঙ্গে। ওই সমস্ত ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত করা হচ্ছে না কেন সেটাও স্পষ্ট নয়।’’
এপিডিআরের প্রতিনিধিরা আন্দোলনকারী, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে চান। তাদের প্রশ্ন, বিষ মদ খেয়ে মরলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় সেখানে সেখানে পাহাড়ে নিহতদের পরিবার ক্ষতিপূরণ পাবে না কেন?
সংস্থার তরফে জানানো হয়, কী পরিস্থিতির জন্য হঠাৎ করে পাহাড় অশান্ত হয়ে উঠল তা জানা জরুরি। তা ছড়া এ ভাবে আন্দোলন কতদিন চলবে তা নিয়েও তাঁরা কথা বলতে চান বলে জানান। সরেজমিনে সব কিছু জানার পর তাদের সংগ্রহ রিপোর্ট তাঁরা কেন্দ্র বা রাজ্যের স্বারাষ্ট্র সচিব, মানবাধিকার কমিশনের কাছে পাঠাতে চান।