অসন্তুষ্ট: বৈঠকে মেয়র। ছবি: স্বরূপ সরকার
রাজ্যের অর্থমন্ত্রী যেমন কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ দাবি করছে, ঠিক তেমনই শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ রাজ্যের কাছ থেকে তাদের প্রাপ্য ৩৩৩ কোটি টাকা দাবি করছেন বলে জানান মেয়র। মঙ্গলবার তিনি জানান, পুজোর পর শেষবারের মতো পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে ওই প্রাপ্য টাকার দাবিতে দেখা করতে চান। না পেলে কলকাতায় ধর্না, অনশন অবস্থান করবেন। আইনের পথেও যাবেন।
মেয়র বলেন, ‘‘খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলছে। নতুন আর্থিক বছরের ৬ মাস হয়ে গেল অর্থ বরাদ্দ করছে না রাজ্য সরকার। অর্থমন্ত্রী কেন্দ্রের কাছ থেকে যেমন তাদের পাওনা চাইছেন সেটা তাঁর সাংবিধানিক অধিকার। তেমনি রাজ্যের কাছ থেকে শিলিগুড়ি পুরসভা যে টাকা পাবে সেটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। দয়ার দান চাওয়া হচ্ছে না।’’ তিনি জানান, পুরমন্ত্রীর সঙ্গে সম্প্রতি কথা হয়েছে। পুজোর পর বকেয়ার দাবি নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন।
বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার জানান, মন গড়া কথা বলছেন মেয়র। শিলিগুড়ি পুরসভার বকেয়া যদি ৩৩৩ কোটি থাকে তা হলে রাজ্যের বাজেট কত হবে? রঞ্জনবাবুর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘মেয়র ব্যর্থ। তা ঢাকতেই অন্য দিকে নজর ঘোরাতে চাইছেন।’’
মেয়র জানান, ডেঙ্গি প্রতিরোধে এই আর্থিক বছরে যে টাকা দেওয়ার কথা তা পাননি। তা সত্ত্বেও তারা কাজ করছেন। পরিকল্পনা বহির্ভূত খাতে পুরসভার আয় থেকে ২৮ কোটি টাকা এর মধ্যেই খরচ করা হয়েছে। ঠিকাদারদের বকেয়া পাওনার মধ্যে ১২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। অস্থায়ী কর্মীদের পুজোর সময় দু’ মাসের বেতন ৩ কোটি ২৮ লক্ষ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ৮৬ লক্ষ টাকা বোনাস হিসাবে দেওয়া হয়েছে। সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে চাল, অবসর ভাতা, কাউন্সিলর তহবিলে বাকি টাকা দেওয়া হয়েছে। মেয়রের বক্তব্য, ‘‘আমরা বিরোধী বলে রাজ্যের
তরফে প্রাপ্য টাকা পাব না সেটা হতে পারে না।’’