অসম-কাণ্ডে ব্যবসায় ক্ষতি

দীপাবলির মুখে অসমের গোলমাল, বন্‌ধের প্রভাব পড়ছে কোচবিহারের বাজারেও। জেলার দু’টি ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে অসম-বাংলা বাস মালিক সমিতি কর্তাদের একাংশও ওই ব্যাপারে আর্থিক ক্ষতির হিসেবনিকেশ শুরু করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:০১
Share:

প্রতিবাদ: অসমে গণহত্যার প্রতিবাদে আলিপুরদুয়ারে মোমবাতি মিছিল তৃণমূলের। শনিবার সন্ধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

দীপাবলির মুখে অসমের গোলমাল, বন্‌ধের প্রভাব পড়ছে কোচবিহারের বাজারেও। জেলার দু’টি ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে অসম-বাংলা বাস মালিক সমিতি কর্তাদের একাংশও ওই ব্যাপারে আর্থিক ক্ষতির হিসেবনিকেশ শুরু করেছেন। প্রাথমিকভাবে সব মিলিয়ে দু’দিনে অন্তত এক কোটি টাকার ব্যবসা মার খেয়েছে বলে ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্তারা। অসমের বর্তমান অবস্থায় ওই ক্ষতির অঙ্ক আরও বাড়ার আশঙ্কায় চিন্তা বেড়েছে।

Advertisement

কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলা সদরের বাজারের ওপর নিম্ন অসমের বাসিন্দাদের অনেকেই নির্ভর করেন। ধুবুরি, কোকরাঝাড়-সহ নিম্ন অসমের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে দুর্গাপুজো, কালীপুজোর মতো নানা উৎসবের মুখে অসমের ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়ে যায়। কোচবিহার থেকেই দীপাবলির মুখে মোমবাতি, বৈদ্যুতিন আলোকসজ্জা, আতসবাজি নিতে অসমের ব্যবসায়ীরা অনেকে ভিড় করেন। ৬ নভেম্বর কালীপুজো বলে শুক্রবার, শনিবার থেকে ওই ভিড় উপচে পড়বে বলেই জেলা সদরের ব্যবসায়ীদের আশা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার তিনসুকিয়ায় পাঁচ জন বাঙালিকে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা গুলি করে হত্যা করার পরে পরিস্থিতি বদলে যায়। তার জেরেই ব্যবসায়ীদের আশা মারাত্মকভাবে ধাক্কা খেয়েছে। শুক্র, শনি— দু’দিনই অসমের ব্যবসায়ীদের দেখা মেলেনি। দীপাবলির সরঞ্জাম বিক্রিতেই দু’দিনে অন্তত ২০ লক্ষাধিক টাকার ব্যবসা মার খেয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করছেন তাঁরা। এ ছাড়াও ধনতেরসের আগে বাজারে সোনার গয়না থেকে জামাকাপড়, হার্ডওয়্যার সামগ্রীর মত দৈনন্দিন ব্যবসাও মার খেয়েছে। জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নারায়ণ মোদক বলেন, “সব মিলিয়ে দিনে অসমে গড়ে ৫০-৬০ লক্ষ টাকার ব্যবসা হয়। দু’দিন হল সেটাও প্রায় বন্ধ।”

ব্যবসায়ীদের অন্য একটি সংগঠন, কোচবিহার ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ কর্তাদেরও প্রাথমিক হিসেব, ইতিমধ্যে ১ কোটির বেশি টাকার ব্যবসা মার খেয়েছে। ইন্ড্রাস্ট্রিজের সম্পাদক রাজেন বৈদ বলেন, “অশান্তি, গোলমাল হলে লোকের আনাগোনা কমে যায়। তার উপরে বন্‌ধ। তার জেরেই ব্যবসা মার খাচ্ছে।” অসম-বাংলা বাস মালিক সমিতির কর্তারা জানান, আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁরাও। সমিতির সম্পাদক নান্টু দে সরকার বলেন, “কোচবিহার থেকে অসমের বিভিন্ন রুটে গড়ে দৈনিক ৬০টি বাস চলে। শুক্রবার বাস চললেও যাত্রীদের ভিড় কম ছিল। শনিবার অসমে বন্‌ধের জেরে কোনও বাস চলেনি। সব মিলিয়ে দু’দিনে ১০ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন