নিহত মমতা।
প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে দিন দুপুরে চাকু চালিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী প্রেমিকাকে খুন করার অভিযোগ উঠলো প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরেই প্রেমিক বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। গ্রামবাসীরা তাঁকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে আলিপিরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
রবিবার দুপুরে আলিপুরদুয়ারের বারবিশা সংলগ্ন দক্ষিণ চকচকা গ্রামে গ্রামবাসীরা রক্তাক্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে কামাখ্যাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায় সে। পুলিশ জানিয়েছে মৃত কিশোরীর নাম মমতা রবিদাস। মমতা কামাখ্যাগুড়ি মিশন হাইস্কুলের ছাত্রী। কয়েকদিন আগে মমতার বিয়ে ঠিক হয়। ৮ মার্চ তার বিয়ে। অভিযুক্ত যুবক শ্যামলাল চৌধুরী পেশায় দিন মজুর।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, এদিন দুপুরে মমতা বাড়ির পাশের রায়ডাক নদী থেকে স্নান করে ফেরার সময় শ্যামলাল ছুরি নিয়ে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এলোপাথাড়ি ছুরি চালায়। তার পেটে ও বুকে পাঁচটি আঘাত করেছে শ্যামলাল।
মমতার বাবা শঙ্কর রবিদাস জানিয়েছেন, ‘‘এক বছর ধরে মেয়েকে উত্যক্ত করছিল শ্যামলাল। এক বার রাতে নেশা করে আমার বাড়িতে চড়াও হয়। গ্রাম্য সালিশিতে ক্ষমা চায় সে। মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে শুনে আবার সে উত্যক্ত করতে শুরু করে। বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। মেয়ে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। কিন্তু আমার মেয়ের জীবনটা কেড়ে নেবে ভাবিনি।’’ মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।