নিরাপত্তা বাড়ছে বাগডোগরায়

বর্তমানে ১৪৮ জন অফিসার ও জওয়ান বিমানবন্দরের দায়িত্বে রয়েছেন। সংখ্যাটা বাড়িয়ে ২১৮ জন করা হচ্ছে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:০৩
Share:

বাগডোগরা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আরও আঁটোসাটো করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, আগামী এপ্রিল থেকেই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ অফিসার ও জওয়ানদের সংখ্যা একধাপে বাড়ানো হচ্ছে অনেকখানি।

Advertisement

বর্তমানে ১৪৮ জন অফিসার ও জওয়ান বিমানবন্দরের দায়িত্বে রয়েছেন। সংখ্যাটা বাড়িয়ে ২১৮ জন করা হচ্ছে। নজরদারির সময়সীমাও বাড়বে আরও ৮ ঘণ্টা। প্রতিমাসে বাড়তে থাকা যাত্রী সংখ্যা, উড়ানের সংখ্যা এবং আইএলএস পরিষেবা চালুর কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত। সম্প্রতি বিমানবন্দরের অধিকর্তাকে সিদ্ধান্তের কথা জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এআইআই) নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বিমান মন্ত্রকে চিঠি দেয়। সেখানে বিবেচনার পর তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। জানুয়ারি মাসে প্রস্তাব চূড়ান্ত হয়। বাগডোগরা বিমানবন্দর অধিকর্তা রাকেশ সহায় বলেন, ‘‘বিমানবন্দর চত্বরের ১৬ ঘণ্টা নিরাপত্তার জন্য এই সিদ্ধান্ত।’’

Advertisement

বাগডোগরা বিমানবন্দরের এটিসি বায়ুসেনা নিয়ন্ত্রণ করে। এখন ভোর ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিমান চলাচল করে। কিন্তু চলাচলের সূচি দেখে সকাল ১১টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত সিআইএসএফ মোতায়েন থাকে। শুধু মঙ্গল ও শুক্রবার ব্যাঙ্কক-পারোর আন্তর্জাতিক বিমানটির জন্য সকাল ৮টায় একদলকে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। সংখ্যায় ১৪৮ জন হলেও আদতে চত্বরের নিরাপত্তায় বহাল থাকেন ৭০ জনের মত। কারণ বাকিদের কারও ছুটি, কারও অফিস ডিউটি। কেউ আবার রিজার্ভে থাকেন। দু’টি দলে ভাগ করা হলে এই সংখ্যাটাও ৩৫-৪০ জন হয়ে যায়।

বর্তমানে দুপুরের দিকে এক থেকে দেড় হাজার যাত্রী বিমানবন্দরে ঢুকছেন। তাঁদের সিকিউরিটি চেক থেকে দেহ তল্লাশি সব মিলিয়ে অনেকটাই সময় লাগে। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে যাত্রী সংখ্যা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে এ মাসেই ২০ লক্ষ ছাড়াতে চলছে। কার্গো বেড়েছে ৩৩ শতাংশ। গত বছর বিমানের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৭টি। এখন সংখ্যাটা ৭৭১৮।

এআইআই-র কয়েক জন অফিসার জানান, যাতায়াতকারী ভিআইপির সংখ্যা বাড়ছে। সোনা, কার্তুজ-সহ নানা সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনাও বাড়ছে। দিল্লি থেকে আইএলএস ছাড়পত্র এসে গেলে সকাল বা সন্ধের পর বিমান চালানোর ঝোঁকও বাড়বে। ওই স্বল্প সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে কাজ করা সম্ভব না। নতুন সিদ্ধান্তে ভোর ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিআইএসএফ মোতায়েন থাকবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement