দুই শহরে ডাক্তারদের দুই সাফল্য

 ‘রেফার’ ফিরিয়ে চিকিৎসা

ক্ষতিগ্রস্ত হয় যকৃত। প্রথমে যা দেখে কলকাতায় ‘রেফার’ করে দিতে চেয়েছিলেন বালুরঘাটের চিকিৎসকেরা। কিন্তু পরে তাঁদের হাতেই নতুন জীবন পেলেন শহরের খিদিরপুর হালদার পাড়ার বাসিন্দা অভিজিৎ হালদার। শনিবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৮ ০৩:১৮
Share:

সেরে উঠে বাড়ি ফেরার আগে অভিজিৎ। —নিজস্ব চিত্র

পিছন থেকে এসে জোর ধাক্কা দিয়েছিল একটি মোটরবাইক। নিজের বাইক থেকে ছিটকে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। হেলমেট থাকায় মাথা বাঁচে। কিন্তু নিজের বাইকের হ্যান্ডেল লাগে পেটে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যকৃত। প্রথমে যা দেখে কলকাতায় ‘রেফার’ করে দিতে চেয়েছিলেন বালুরঘাটের চিকিৎসকেরা। কিন্তু পরে তাঁদের হাতেই নতুন জীবন পেলেন শহরের খিদিরপুর হালদার পাড়ার বাসিন্দা অভিজিৎ হালদার। শনিবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন তিনি।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত ২৮ জুন মোটরবাইক দুর্ঘটনায় পেটে গুরুতর আঘাত পান অভিজিৎ। তাঁকে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতালের সুপার তপন বিশ্বাস জানান, যকৃতে গুরুতর আঘাতে এক লিটারের মতো রক্ত জমে গিয়েছিল। অনেকগুলি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। শুধু রক্ত বার করে দেওয়াই নয়, প্রয়োজন ছিল ওই ক্ষতস্থানগুলির চিকিৎসারও।

প্রথমে কেন রেফার করেন? তপনবাবুর দাবি, মফস্বলের হাসপাতালে সব ব্যবস্থা থাকে না। তাই কোনও ভাবে রোগীর মৃত্যু হলে যাবতীয় দায় মাথায় নিতে হয় ডাক্তারদের। সেই দায় নেওয়ার থেকে রেফার করে দেওয়া সমীচিন মনে হয়েছিল ডাক্তারদের।

Advertisement

কিন্তু রোগীর পরিবার জানায়, তাদের পক্ষে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তখন দুই সার্জেন অভিজিৎ বক্সী এবং মহেন্দ্র কুমার ল্যাপরোস্কোপি সার্জারি করেন।

চিকিৎসক জানান, ‘‘আঘাতে ওই যুবকের যকৃতে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। প্রায় এক লিটারের মত রক্ত জমে গিয়ে প্রাণ সংশয় দেখা দিয়েছিল। ডায়োগনস্টিক ল্যাপরোস্কপির মাধ্যমে ওই রক্ত বের করা হয়।’’

মরণাপন্ন রোগীকে সুস্থ করে বাড়িতে নিয়ে যেতে পেরে খুশির হাওয়া পরিবারের লোকদের মধ্যে। অভিজিতের বাবা পেশায় কাঠ মিস্ত্রী রবিন হালদারের কথায়, ‘‘ডাক্তারবাবুরা এগিয়ে এসে ছেলের অপারেশন করে প্রাণ বাঁচিয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন