চিৎকারে ভেস্তে গেল ব্যাঙ্ক ডাকাতি

ব্যাঙ্কের তরফে জানান হয়েছে, ওই ব্যাগে তিন লক্ষ টাকা ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজে ৫-৬জন দুষ্কৃতীকে দেখা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:১৬
Share:

তদন্ত: ব্যাঙ্কে এসেছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

তখন ব্যাঙ্কের ব্যস্ত সময়। ক্যাশ কাউন্টারে বসে গ্রাহকদের টাকা নিচ্ছিলেন এক ব্যাঙ্ককর্মী। তাঁর পিছনে ভেজানো রয়েছে ওই কাউন্টারে ঢোকার দরজা। হঠাৎ এক ব্যক্তি ওই দরজা দিয়ে এসে চোখের পলকে কাঁধের ব্যাগে ঢুকিয়ে নেয় টেবিলে রাখা নোটের বান্ডিল। তারপরেই সেই ব্যক্তি ও আরও কয়েকজন ছুট দেয় ব্যাঙ্কের দরজার দিকে। তা দেখেই চিৎকার করে ওঠেন লাইনে দাঁড়ানো কয়েকজন গ্রাহক ও কিছু কর্মী। তা শুনে ব্যাঙ্কের নিরাপত্তারক্ষী ভিতরে আসতেই ব্যাগ ছুঁড়ে ছুটে বেরিয়ে যায় ওই ব্যক্তি ও তার সঙ্গীরা।

Advertisement

শুক্রবার দুপুরে গ্রাহক সেজে এভাবেই লুঠের চেষ্টা হল শিলিগুড়ি থানার সেবক রোডের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। ব্যাঙ্কের তরফে জানান হয়েছে, ওই ব্যাগে তিন লক্ষ টাকা ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজে ৫-৬জন দুষ্কৃতীকে দেখা গিয়েছে। তারা ব্যাঙ্ককর্মীদের সঙ্গে ভাঙা হিন্দিতে কথা বলছিল, কথার টানের বিষয়ে জেনে তদন্তকারীদের অনুমান অভিযুক্তরা ওড়িশা বা দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দা। পুজোর আগে লুঠ-ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তারা ভিনরাজ্য থেকে এসেছে বলে সন্দেহ পুলিশের।

শহরের পানিট্যাঙ্কি মোড় থেকে সেবক রোড হয়ে দুই মাইলের দিকে যাওয়ার রাস্তায় ধারে একটি বহুতলের দোতলায় ওই ব্যাঙ্কের শাখা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কে সাধারণ কাউন্টারগুলি একদিকে থাকে। আর অন্যদিকে ক্যাশ কাউন্টারের সামনে গ্রাহকেরা দাঁড়ান। সেটির পিছনে বা ভিতরের দিকে যাওয়া যায় না। কিন্তু সেবক রোডের ওই শাখায় সমস্ত কাউন্টার, ক্যাশ কাউন্টার একদিকেই। ইচ্ছা করলেই যে কেউ ক্যাশ কাউন্টারের পিছনের দিকে চলে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে দুষ্কৃতীরা সেটি খেয়াল করেই হানা দিয়েছিল বলে পুলিশের অনুমান। ঘটনার পরে এসিপি অচিন্ত্য গুপ্ত প্রাথমিক তদন্তের পরে বিভিন্ন থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি (পূর্ব) গৌরব লাল বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’’

Advertisement

এ দিন বেলার ১২টার পর ছ’জন ব্যাঙ্কের ভিতরে গ্রাহক সেজে ঢোকে। তিনজন অ্যাকাউন্ট খোলা, ঋণ নেওয়ার বিষয়ে নানা প্রশ্ন করতে থাকেন কাউন্টারের কর্মীদের। বাকিরা ঘোরাঘুরি করছিল। পরে একজন ব্যাঙ্কের ভিতরের দিক দিয়ে ক্যাশ কাউন্টারের পৌঁছে ব্যাগে ঢুকিয়ে নেয় টাকা। ব্যাঙ্কের নিরাপত্তারক্ষী অনুকূল সরকার বলেন, ‘‘গ্রাহকের বেশে থাকায় আমরা কিছুই বুঝিনি। চিৎকার শুনে ভিতরের দিকে যেতেই ধাক্কাধাক্কি করে ছেলেগুলি পালায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন