অমর্ত্যর বার্তা নিয়ে ব্যানার

কলকাতায় এই ব্যানার লাগানোর পিছনে শাসকদলের প্রচ্ছন্ন মদত ছিল বলে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালবাজার শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৯ ০৪:৪৬
Share:

এই ব্যানারই দেখা যাচ্ছে মালবাজারে। নিজস্ব চিত্র

এর আগে কলকাতায় দেখা গিয়েছিল এই ব্যানার। এ বারে মালবাজার পুর এলাকাতেও ঝুললো অমর্ত্য সেনের ছবি ও বক্তব্যের ব্যানার। ‘নাগরিকদের পক্ষ থেকে প্রচারিত’ সেই ব্যানারে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘জয় শ্রীরাম স্লোগান আগে শুনিনি। ইদানীং মানুষকে মারার জন্য এটি ব্যবহার করা হচ্ছে।’

Advertisement

এই ব্যানার নিয়ে কিছুটা ধন্দ তৈরি হয়েছে মালবাজারে। কারও কারও মতে, কলকাতায় এই ব্যানার টাঙানো হলেও উত্তরবঙ্গে আগে তা হয়নি। তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড রয়েছে এই শহরে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই মনে হয় শাসকদলের মদতে এমন ব্যানার টাঙানো হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে বলা হয়েছে, এই ব্যানারের সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই। বিজেপি আবার পুরোটাই তৃণমূলের মস্তিষ্কপ্রসূত বলে দাবি করেছে। সিপিএম এই ব্যানার-রাজনীতিরই বিরোধিতা করেছে।

কলকাতায় এই ব্যানার লাগানোর পিছনে শাসকদলের প্রচ্ছন্ন মদত ছিল বলে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি। তাঁদের বক্তব্য, বিষয়টিতে যাতে রাজনৈতিক রং না লাগে, তাই নাগরিকদের পক্ষ থেকে এই বার্তা প্রচার করা হচ্ছে। কারণ, অমর্ত্য যা বলেছেন, সেটাই আমজনতার মনের কথা, বলছেন তাঁরা।

Advertisement

মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা অবশ্য বলেন, “এই ব্যানারের সঙ্গে পুরসভার কোনও রকম সম্পর্ক নেই। তাই এই বিষয়ে পুরসভার মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।” তৃণমূলের মালবাজার শহর সভাপতি মানসকান্তি সরকার বলেন, “তৃণমূলের ব্যানার তৃণমূল নিজের নামেই প্রকাশ করে। বিজেপি ভয় পেয়েই নাগরিকদের ব্যানারেও এখন তৃণমূলের ছায়া দেখছে।” বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক বাপী গোস্বামী বলেন, “তৃণমূল এতটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে যে তারা দলের নামে ব্যানার দিতে ভয় পাচ্ছে। তাই এই ব্যর্থ কৌশল, আসলে মানুষ তাদের খেলা ধরে ফেলেছে।” মালবাজারের বিরোধী দলনেতা সুপ্রতিম সরকার এই ব্যানার-রাজনীতির তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেন, “বেকার ছেলেমেয়েরা কাজ পাচ্ছে না, মৌলিক দাবি পূরণ হচ্ছে না। সেখানে এমন ব্যানার-রাজনীতিতে আমরা থাকতে চাই না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন