স্কুলের বৈঠকে মারধর, জখম আধিকারিকেরা

স্কুলের ভবন নির্মাণে ত্রুটি রয়েছে, এই অভিযোগে রাজ্য সড়ক অবরোধ করেছিল পড়ুয়ারা। সেই ঝামেলা মেটাতে আলোচনায় বসেছিলেন বিডিও ও সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার। সেখানেই বিডিও ও সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে (এএসই) মারধর করার অভিযোগ উঠল স্কুলের এক শিক্ষক ও বহিরাগতদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৮ ০২:৩৪
Share:

জখম: চিকিৎসা চলছে বিডিও এবং এএসই-র। নিজস্ব চিত্র

স্কুলের ভবন নির্মাণে ত্রুটি রয়েছে, এই অভিযোগে রাজ্য সড়ক অবরোধ করেছিল পড়ুয়ারা। সেই ঝামেলা মেটাতে আলোচনায় বসেছিলেন বিডিও ও সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার। সেখানেই বিডিও ও সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে (এএসই) মারধর করার অভিযোগ উঠল স্কুলের এক শিক্ষক ও বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে রতুয়ার ভাদো বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসার ঘটনা।

Advertisement

মারধরে দু’হাতেই গুরুতর চোট পেয়েছেন রতুয়া ১ ব্লকের বিডিও অর্জুন পাল। মেরে সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সোমদীপ্ত ভৌমিকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। মাদ্রাসারই এক শিক্ষক নুর ইসলামের নেতৃত্বে বহিরাগতরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই শিক্ষক।

আহত বিডিও ও এএসইকে রতুয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। চাঁচলের মহকুমাশাসক দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মাদ্রাসার শিক্ষক নুর ইসলামের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। ওই শিক্ষককে দ্রুত গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

মাদ্রাসা ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দে মাদ্রাসার ৫টি ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষ তৈরির কাজ চলছিল। কাজের তত্ত্বাবধান করছিল ব্লক প্রশাসন। কিন্তু অভিযোগ ওঠে শ্রেণিকক্ষের মেঝে নীচু করা হচ্ছে। তা উঁচু করার জন্য পড়ুয়া ও শিক্ষকদের একাংশ বিডিওর কাছে আবেদন জানান। কিন্তু তারপরেও সমস্যা না মেটায় এ দিন পড়ুয়ারা সামসি-রতুয়া রাজ্য সড়কের উপর ভাদোতে মাদ্রাসার সামনে পথ অবরোধ শুরু করে। পুলিশ-প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিকেল চারটায় অবরোধ ওঠার পরে মাদ্রাসায় গিয়ে আলোচনায় বসেন বিডিও ও এএসই। ওই মিটিংয়েই বহিরাগতরা ঢুকে পড়েছিল বলে অভিযোগ।

আলোচনার সময় আচমকাই সভাকক্ষে তুলকালাম বেঁধে যায়। বিডিও ও এসএইকে লক্ষ করে চেয়ার, টেবিল ছুঁড়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। সেসময় চেয়ারের আঘাতে এসএইর মাথা ফেটে যায়। বিডিওর দুই হাতেই চিড় ধরেছে বলে চিকিত্সকদের আশঙ্কা। বিডিও অর্জুন পাল বলেন, ‘‘আমার কোনও হাত তোলার ক্ষমতা নেই। কথা বলারও অবস্থা নেই। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষই যা করার করছেন।’’ শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, শ্রেণিকক্ষের মেঝে নিয়ে আপত্তি জানানোর পরেও প্রশাসন দেরি করায় পড়ুয়াদের ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু যা ঘটেছে তা কাম্য ছিল না বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মহম্মদ সাদ। অভিযুক্ত শিক্ষক নুর ইসলামের অবশ্য দাবি, ‘‘আমি কি দুষ্কৃতী যে বহিরাগতদের ডেকে হামলা চালাব। কেন আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলা হচ্ছে জানি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন