‘পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের ভাল ফল হলে ফজলি আম খেয়ে যাব’

রোড-শোয়ের মাঝেই তাঁর বারবার চোখ পড়ছিল রাস্তার দু’পাশে থাকা আমবাগানের দিকে। বিশ্বনাথ মোড়ের কাছাকাছি হাতের নাগালেই গাছ থেকে ঝুলছিল আম। গাড়ি কাছে আসতেই রীতিমতো লাফ দিয়ে প্রচার গাড়ির ওপর থেকেই ছিঁড়ে নিলেন দু’টি আম।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

মালদহ শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৮ ০২:০৫
Share:

প্রচারে: কুমারপুরে রোড- শো শতাব্দী রায়ের। ছবি: তথাগত সেন

ইংরেজবাজার ব্লকের কুমারপুর থেকে প্রচার গাড়ি বার হতেই রাস্তার দু’পাশে দাঁড়ানো বাসিন্দাদের কখনও হাত দেখালেন, কখনও নমস্কার জানালেন তিনি। সঙ্গে একগাল হাসি তো রয়েছেই। তবে রোড-শোয়ের মাঝেই তাঁর বারবার চোখ পড়ছিল রাস্তার দু’পাশে থাকা আমবাগানের দিকে। বিশ্বনাথ মোড়ের কাছাকাছি হাতের নাগালেই গাছ থেকে ঝুলছিল আম। গাড়ি কাছে আসতেই রীতিমতো লাফ দিয়ে প্রচার গাড়ির ওপর থেকেই ছিঁড়ে নিলেন দু’টি আম। তাতেই আহ্লাদে আটখানা নায়িকা। আর সেই দৃশ্য দেখে হেসে লুটোপুটি ভক্ত মহিলারা। শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ রোড শোয়ে বেরিয়ে সাংসদ শতাব্দী রায় আম হাতে নিয়ে তাঁদের উদ্দেশ করে বলেই ফেললেন, “পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের ভাল ফল হলে একমাস পর মালদহে এসে ফজলি আম খেয়ে যাব।’’ অভিনেত্রীর মুখে এ কথা শুনে পড়ল হাততালি। এ দিন মালদহে প্রচারে কম যায়নি নুসরত জাহান-অঙ্কুশ জুটিও। শুক্রবার রুপোলি পর্দার এই দুই জুটি তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে রোড-শো করেছিলেন রতুয়া থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর। এ দিন সকাল ১০টায় তাঁরা রোড-শো শুরু করেন পুরাতন মালদহ ব্লকের নারায়ণপুর থেকে। চলতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের কোনও বিখ্যাত নেতারা প্রচারে আসেননি। তৃণমূলের দাবি, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নিয়ে এলেও তেমন কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না বিজেপি। কংগ্রেসের একদা দুর্গ চাঁচলে প্রথম জয়লাভ সময়ের অপেক্ষা, এমনই মনে করছে শাসকদল। যদিও তাদের প্রচারকে কোনও গুরুত্ব দিতে রাজি নন বিরোধীরা।

Advertisement

রায়গঞ্জ: শনিবার উত্তর দিনাজপুরে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার চালাতে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা বা মন্ত্রী আসেননি। এ দিন সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তৃণমূলের প্রার্থীরা কেউ বাড়ি বাড়ি প্রচার চালিয়েছেন, কেউ দলীয় কর্মীদের সঙ্গে এলাকায় মিছিল করে প্রচার সেরেছেন। রায়গঞ্জের সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ ও জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত এ দিন গোয়ালপোখর ১, ২ ব্লক, করণদিঘি ও রায়গঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীদের সমর্থনে এদিন জনসভা ও মিছিলে যোগ দেন।

বুনিয়াদপুর: এক সময়ের বাম দুর্গ দক্ষিণ দিনাজপুরে কোনও জোরালো প্রচার নেই বামেদের। নেই বড় পথসভা। প্রচারে আসেননি রাজ্যস্তরের উল্লেখযোগ্য নেতা। গত নির্বাচনে কুশমণ্ডি, হরিরামপুর ও গঙ্গারামপুরে সুবিধা করতে পারেনি শাসকদল। সেই এলাকাগুলিতেও বামেদের এই নিষ্ক্রিয়তা কেন? প্রশ্নের উত্তরে সিপিএমের জেলা সম্পাদক নারায়ণ বিশ্বাস বলেন, ‘‘তৃণমূল যেভাবে সন্ত্রাসের আবহাওয়া তৈরি করে রেখেছে, তাতে জনসভা করলে লোক আসবে কী ভাবে?’’ বাম শিবিরের তরফে জানা গিয়েছে, যে সব এলাকায় বামেরা লড়াই করতে পারবে, সেখানেই বৈঠক ও প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জোরদার হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির প্রচার।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন