ভোটের ‘হিরো’ হ্যান্ডমাইক

অন্যবার সাধারণত মনোনয়ন পর্ব মিটতেই প্রকাশ্যে সভার হিড়িক শুরু হয়ে যেত। এ বার ভোটের দিন নিয়ে টানাপড়েন চলায় বড় সভার দিকে ঝোঁক ছিল না কোনও শিবিরের। বড় মাইক, চোঙা ভাড়া হচ্ছে না।

Advertisement

অরিন্দম সাহা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৮ ০২:১৬
Share:

প্রচারে: শুচিস্মিতা দেবশর্মার সভায় হ্যান্ডমাইক। নিজস্ব চিত্র

ধুলো ঝেড়ে সাফসুতরো করে কেউ সঙ্গে নিয়ে ঘুরছেন। কেউ আবার ব্যাটারি বদলেছেন। পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতিতে কোচবিহারে যুযুধান শিবিরের কাছেই এ বার কদর বেড়েছে হ্যান্ডমাইকের। তারাই এ বার যেন ‘হিরো’।

Advertisement

অন্যবার সাধারণত মনোনয়ন পর্ব মিটতেই প্রকাশ্যে সভার হিড়িক শুরু হয়ে যেত। এ বার ভোটের দিন নিয়ে টানাপড়েন চলায় বড় সভার দিকে ঝোঁক ছিল না কোনও শিবিরের। বড় মাইক, চোঙা ভাড়া হচ্ছে না। ঘরোয়া সভা, আলোচনা, বৈঠকে তাই হ্যান্ডমাইকই চাই।

তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ইতিমধ্যে কয়েকশো ঘরোয়া সভা, কর্মী-বৈঠক করেছেন। বক্তব্য রাখছেন হ্যান্ডমাইকে। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “কয়েক বছর আগে হ্যান্ডমাইকটি কিনেছিলাম। নতুন ব্যাটারি লাগিয়ে নিয়েছি। ভিড়ের মধ্যেও স্পষ্ট শোনা যায়।” তৃণমূলের জেলা পরিষদ প্রার্থী শুচিস্মিতা দেবশর্মারও নিজস্ব হ্যান্ডমাইক রয়েছে। তিনি বলেন, “গত পঞ্চায়েত ভোটে কিনেছিলাম। এ বারও কাজে লাগছে।”

Advertisement

রাজনীতিতে মতানৈক্য থাকলেও বিরোধী শিবিরও হ্যান্ডমাইকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বিজেপি’র কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “আপাতত বড় জনসভা করা হচ্ছেনা। তাই টাকা খরচ করে বড় মাইক, চোঙ ভাড়া করার দরকার কী! হ্যান্ডমাইকেই কাজ চালাচ্ছি।” সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, “আমরাও হ্যান্ডমাইক ঘরোয়া সভায় কাজে লাগাচ্ছি।” প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক কেশব রায়ও জানাচ্ছেন, ছোট সভাতে হ্যান্ডমাইক ব্যবহার করা যেতেই পারে। কয়েকজন বাসিন্দাও বলেন, বড় মাইকে শব্দ তাণ্ডবের আশঙ্কা থাকে। হ্যান্ডমাইক কিন্তু সে দিক থেকে নিরাপদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন