লিয়াকত সেই কংগ্রেসেই

লিয়াকত বলেন, ‘‘আমি কংগ্রেসের ছিলাম, আছি এবং থাকব।’’ তৃণমূল নেতারা অবশ্য দাবি করেছেন, লিয়াকত মুখে যাই বলুন, পরে পরিস্থিতি বদলাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৮ ১২:০১
Share:

উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক খোদ শুভেন্দু অধিকারীই নির্বাচনী জনসভায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি তথা কংগ্রেসের রায়গঞ্জ ব্লক সভাপতি লিয়াকত আলি তৃণমূলে যোগ দেবেন। কিন্তু লিয়াকতকে দেখা গেল কংগ্রেসের হয়েই প্রচার করছেন। লিয়াকত বলেন, ‘‘আমি কংগ্রেসের ছিলাম, আছি এবং থাকব।’’ তৃণমূল নেতারা অবশ্য দাবি করেছেন, লিয়াকত মুখে যাই বলুন, পরে পরিস্থিতি বদলাবে।

Advertisement

শুভেন্দু বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার হাইস্কুলমাঠে নির্বাচনী জনসভায় লিয়াকতকে দলে টানার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সেই রাতেই লিয়াকতকে কিন্তু দেখা যায়, জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্তের সঙ্গে তিনি প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভও প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের নেতা কর্মীরা আমাকে অপহরণ করে মনোনয়ন তোলাতে বাধ্য করেন। আমার পরিবার সহ দলের নেতা ও কর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে মনোনয়ন তুলে নিতে বাধ্য হই। প্রতিটি নির্বাচনী জনসভায় দলের নেতা, কর্মী, সমর্থক ও ভোটারদের সে কথাই বলছি। তৃণমূল সন্ত্রাস ও মিথ্যাচারের রাজনীতি করে কংগ্রেসকে ভাঙতে পারবে না।’’

এই বিষয়ে শুভেন্দুর পাল্টা দাবি, উন্নয়নের স্বার্থে গোপনে ও মানসিকভাবে জেলার নয়টি ব্লকের কংগ্রেসের বহু নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে কারা প্রকাশ্যে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন, তা সবাই দেখতে পাবেন।

Advertisement

শুভেন্দু বৃহস্পতিবার দাবি করেন, ‘‘কিছু দিন আগে রায়গঞ্জের কংগ্রেসের জেলা পরিষদ প্রার্থী তথা রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি লিয়াকত আলি কলকাতায় গিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করেন। এরপর তৃণমূলের নির্দেশে তিনি রায়গঞ্জে ফিরে মনোনয়ন তুলে নিয়ে উন্নয়নের কাজে সামিল হন। এটা কীসের সঙ্কেত বা ইঙ্গিত, তা আপনারাই বিচার করুন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন