আক্রান্ত: প্রার্থী। নিজস্ব চিত্র
দলের গোঁজ প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।
রবিবার রাত ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে কোচবিহারের মাতালহাটের বড়ভিটায়। ওই প্রার্থীর নাম কৃষ্ণকান্ত বর্মন। তিনি তৃণমূলের জেলা পরিষদের বিদায়ী সদস্য। তিনি এ বারে টিকিট পাননি। কিন্তু মোটরগাড়ি চিহ্ন নিয়ে নিয়ে নির্দল হিসেবে লড়াই করছেন। স্থানীয় যুব তৃণমূলের সদস্যরা কৃষ্ণবাবুকে সমর্থন করায় সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা চলছিল।
কৃষ্ণবাবুর অভিযোগ, ওই দিন রাতে একটি সভা করে তিনি বাড়ি ফেরেন। রাত ১১টা নাগাদ বাড়ির বাইরে বেরোলে আচমকাই দশ-বারোটি বাইক তাঁর বাড়ির সামনে দাঁড়ায়। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। তিনি চিৎকার করে বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়েন। ওই সময় বোমা ছুড়তে ছুড়তে বাইক নিয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান।
কৃষ্ণবাবুর দাবি, স্থানীয় কিছু তৃণমূলের কর্মী বাইকে ছিলেন। যাদের তিনি চিনতে পেরেছেন। তিনি অভিযুক্তদের নামে এ দিন দিনহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, “আমাকে সরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই ওই হামলা ছক কষে করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে থানায় এফআইআর করেছি। তবে এটুকু জানাতে চাই আমি পিছিয়ে যাব না।”
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এক সময় কৃষ্ণবাবুর অনুগামীরাই হামলা চালায় তাঁদের উপর। এখন মিথ্যে অভিযোগ করে এলাকায় প্রচারে আসতে চাইছেন। তৃণমূলের দিনহাটা-১ নম্বরে ব্লক সভাপতি নুর আলম হোসেন বলেন, “এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। ভিত্তিহীন অভিযোগ।”
দিনহাটায় মনোনয়ন জমা দেওয়ার শুরু থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে দলেরই যুব সংগঠনের সদস্যদের লড়াইয়ে একাধিকবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। গীতালদহে এক তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছে। একজন গুলিবিদ্ধও হন।