ফের সংঘর্ষ, তপ্ত দিনহাটা

পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে কোচবিহারে। মাথাভাঙায় তৃণমূল নেতার হাতের আঙ্গুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। আবার দিনহাটায় তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের সংঘর্ষে তিনটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দু’টি ঘটনায় ৫ জন জখম হয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৮ ০২:৩৬
Share:

পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে কোচবিহারে। মাথাভাঙায় তৃণমূল নেতার হাতের আঙ্গুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। আবার দিনহাটায় তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের সংঘর্ষে তিনটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দু’টি ঘটনায় ৫ জন জখম হয়েছেন। ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়িতে।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতেই রবিবার ফুলবাড়িতে তৃণমূল সশস্ত্র মোটরবাইক মিছিল করে বলে অভিযোগ। বিজেপির বেশ কয়েকজন প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর হয়। অভিযোগ, ওই মিছিল থেকে হামলা চালানো হয়। এলাকার কয়েকটি দোকানেও ভাঙচুর করা হয়েছে। রাতে ফের হামলার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। ফুলবাড়ির পাশাপাশি মাথাভাঙা-২ নম্বর ব্লকের নিশিগঞ্জ ও ঘোকসাডাঙ্গায় সশস্ত্র মিছিল হয় বলে অভিযোগ। কোচবিহারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, “ফুলবাড়ির ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ পাঠানো হয়। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ভেটাগুড়ির ব্যাপারে খোঁজখবর চলছে।”

শনিবার সন্ধ্যায় ফুলবাড়িতে সংঘর্ষের শুরু। তৃণমূল সূত্রের দাবি, এলাকার যুব তৃণমূলের সভাপতি বাবলু সরকার তাঁর ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার সময়ে তাঁর উপর চড়াও হন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। অভিযোগ, মারধর করার পাশাপাশি বাবলুবাবুর ডান হাতের তিনটি আঙ্গুল কেটে নেওয়া হয়। তাঁর পেটেও ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। হইচই শুনে এলাকার লোক গিয়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এলাকার তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি বিনয় বর্মন বলেন, ‘‘বিজেপির মদতেই জনপ্রিয় ওই নেতাকে খুনের চেষ্টা হয়। তাই প্রতিবাদে সবাই রাস্তায় নেমেছেন।’’বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, পতাকা টাঙানোর সময় বিজেপি কর্মী ইন্দ্র সিংহকে অস্ত্রের কোপ দেওয়া হয়। বিজেপির জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “ওই এলাকায় আমাদের সংগঠন শক্তিশালী হয়ে ওঠাতেই এমন আক্রমণ হচ্ছে। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”

Advertisement

গোলমাল হচ্ছে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যেও। দিনহাটার ভেটাগুড়িতে খারিজা বালাডাঙ্গায় যুব তৃণমূলের কর্মীরা অস্ত্র নিয়ে মোটরবাইকে চড়ে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল প্রার্থীদের বাড়িতেই ওই হামলা হয়। গুলি ও বোমাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে। তখনই তৃণমূলের আরেক গোষ্ঠীর লোকজন বেরিয়ে যুব কর্মীদের তাড়া করলে তাঁরা পালিয়ে যান। তাঁদের ফেলে রাখা বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যুব নেতৃত্বের অভিযোগ, ওই কর্মীরা গাজনের মেলা দেখে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁদের আটক করে মারধর করে বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহের দাবি, ‘‘মুখ ঢেকে দুষ্কৃতীরা হামলা চালাতে গেলে সকলে প্রতিরোধ করেন।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন