চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পেলে বাসিন্দাদের দুর্নীতি মুক্ত পুরসভা উপহার দেওয়ার কথা জানালেন কোচবিহার পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ভূষণ সিংহ। বুধবার কলকাতা থেকে ফিরতেই তাঁর অনুগামীরা ভূষণবাবুকে নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন।
নিউ কোচবিহার স্টেশন থেকে জেলা পার্টি অফিস হয়ে নিজের ওয়ার্ডে ফেরেন তিনি। তাঁর পিছনে পিছনে মোটরবাইক ও ছোট গাড়ি নিয়ে মিছিলও করে সমর্থকরা। ভূষণবাবু বলেন, “দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব দিয়েছেন। সেই দায়িত্ব গ্রহণ করার পরে সব বলব। তবে এটুক বলব সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমি আছি। তাঁদের সঠিক পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করব। দুর্নীতির অভিযোগ যাতে আর না ওঠে তেমন ভাবেই কাজ করব।”
প্রায় ২ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে পুরসভার চেয়ারপার্সনের পদ থেকে দলের নির্দেশে পদত্যাগ করেন রেবা কুণ্ডু। এর পরেই গত রবিবার কলকাতায় কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করে ভূষণবাবুকেই চেয়ারপার্সন পদে বসানোর কথা জানিয়ে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। ওই বৈঠকের পরে এ দিনই কোচবিহারে ফেরেন ভূষণবাবু। দল জানিয়ে দিলেও প্রশাসনিক ভাবে তিনি দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত সার্বিক ভাবে কিছু বলতে চাননি। তবে পুরসভার বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “আদালতের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কিছু বলতে চাই না। দুর্নীতি প্রমাণ হলে দেখা যাবে।”
বর্তমান পুরসভায় ১৯ জন কাউন্সিলর রয়েছে। বামেদের ৮ জন। ৯ জন তৃণমূলের। ২ জন নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত ৬ জন রেবা কুণ্ডুর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। এই অবস্থায় আগামী ১৫ জুন পুরসভার বোর্ড মিটিং রয়েছে। সেখানে রেবাদেবীর পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার পরে অবস্থা কোন দিকে যায় সেদিকে সবাই তাকিয়ে আছে। পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএম নেতা মহানন্দা সাহা বলেন, “তৃণমূলই দলই দুর্নীতিগ্রস্ত। তাঁদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিল রঞ্জন দে বলেন, “তৃণমূল দল দুর্নীতিগ্রস্তদেরই সামনে রেখেছে। এসব লোক দেখানো।”