Bimal Gurung

Bimal Gurung and Abhishek Banerjee: জিটিএ ভোট না করানোর আর্জি নিয়ে অভিষেকের দ্বারস্থ বিমল

দলীয় সূত্রের খবর, অভিষেক এবং পার্থ সব মন দিয়ে শুনেছেন। গুরুংদের পাশে থাকার কথা বললেও তাঁরা কোনও বিষয়ে সুস্পষ্ট আশ্বাস দেননি।

Advertisement

কৌশিক টৌধুরী

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:০৯
Share:

সাক্ষাৎ: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিমল গুরুং ও রোশন গিরি। আছেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।

পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান না হওয়া অবধি জিটিএ ভোট না করানোর জন্য এ বার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কলকাতায় দেখা করলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের সচিব রোশন গিরিও। শনিবার তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিষেকের সঙ্গে দেখা করতে যান। পাহাড় সমস্যার সমাধানে পাহাড়ের সঙ্গে তরাই এবং ডুয়ার্সকেও রাখার জন্য অভিষেককে জানিয়ে এসেছেন গুরুং-রোশনেরা। আবার পাহাড়ের দ্রুত পঞ্চায়েত ভোটের দাবিও করেছে গুরুং শিবির।

Advertisement

দলীয় সূত্রের খবর, অভিষেক এবং পার্থ সব মন দিয়ে শুনেছেন। গুরুংদের পাশে থাকার কথা বললেও তাঁরা কোনও বিষয়ে সুস্পষ্ট আশ্বাস দেননি। গত কয়েকদিন ধরে গুরুং কলকাতাতেই আছেন। রাজ্য সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করছেন। এ দিন অভিষেকের কাছে যান। তবে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও গুরুংকে সময় দেননি। গত বছরের শেষে সাড়ে তিন বছর পর তৃণমূলকে সমর্থন করে গুরুং পাহাড়ে ফেরেন। তার আগে একাধিকবার তৃণমূলের প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে দেখাও করেন। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী গুরুংকে এখনও সময় দেননি।

গুরুং এ দিন বলেন, ‘‘পাহাড়ের উন্নয়নের সঙ্গে পাহাড় সমস্যা মেটাতে হবে। আমরা সেই কাজই শুরু করে দিয়েছি। আবার পাহাড়, তরাই এবং ডুয়ার্সে শান্তি-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে হবে।’’

Advertisement

গত ২৬ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী কার্শিয়াঙে যান। সেখানে তিনি প্রশাসনিক বৈঠক করেন। বৈঠকে পাহাড় সমস্যা কোন পথে মিটবে তা দেখার জন্য একটি স্টিয়ারিং কমিটি গড়ে দেন। অনীত থাপাদের সঙ্গে ওই কমিটিতে প্রথমবার গুরুং শিবিরের রোশন গিরিকে রাখা হয়। সমাধান কোন পথে আসতে পারে তা জানতে অনীতেরা পাহাড়ের বিভিন্ন স্তরে কথা বলাও শুরু করে দিয়েছেন। আর
গুরুং শিবিরও বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হয়েছে।

মোর্চা নেতারা অভিষেককে জানিয়েছেন, জিটিএ নির্বাচন এবং পাহাড় সমস্যার সমাধান এক সুতোয় জড়িয়ে রয়েছে। পাহাড় সমস্যার সমাধান না করে জিটিএ ভোট করালে পাহাড়ের মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রভাব তৈরি হবে। স্থায়ী সমাধান কোন পথে মেলে তা স্থির হলেই উন্নয়নের কাজ করার রাস্তা বার হবে। সেখানে জিটিএ বা অন্য কিছুই তৈরি হতে পারে। সেটা দেখা অবধি জিটিএ ভোট না করাটাই বাঞ্ছনীয় বলে গুরুং জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন