Bimal Gurung

বাঘাযতীনে সভায় গুরুং

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, রাজ্য সরকার আপাতত দু’পক্ষের মধ্যে সহবস্থান বজায় রাখার কাজ করছে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী 

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২০ ০৮:১২
Share:

—ফাইল চিত্র।

কলকাতা থেকে ফিরে মোর্চা নেতা বিমল গুরুং পাহাড়ে ওঠার আগে শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে একটা জনসভা করবেন বলে ঘোষণা করা হল। সেখানে পাহাড় ছাড়াও তরাই এবং ডুয়ার্সের গোর্খা প্রধান এলাকা থেকে দলে দলে মানুষ যোগ দেবে বলে গুরুংপন্থী মোর্চার তরফে দাবি করা হয়েছে। বুধবার গুরুংপন্থী মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বিশাল ছেত্রী জনসভার ঘোষণা করেছেন। তবে কবে গুরুং শিলিগুড়ি আসবেন আর কবে পাহাড়ে যাবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছে।

Advertisement

বিশালের দাবি, ‘‘কিছু দিনের মধ্যে সভাপতি নিজের এলাকায় চলে আসবেন। শিলিগুড়িতে সভার প্রস্তুতি চলছে। রোজ পাহাড়, তরাই এবং ডুয়ার্সে বৈঠক চলছে।’’ এর পরেই তাঁর কটাক্ষ, ‘‘বিনয় তামাং সুবজ পতাকা দেখালেই বিমল গুরুং পাহাড়ে যাবেন— এ সব বলা হচ্ছে। আসলে তো গুরুং পাহাড়ে আসছেন বুঝেই বিনয় ভয়ে অসুস্থ হয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছেন।’’ বিশালের সঙ্গেই ছিলেন শিলিগুড়ি মহকুমার বিমলপন্থীদের সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি পিকে ঘিসিং। তিনি জানান, সভার জন্য পুলিশ-প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হবে।

এ দিন দুপুরে এই ঘোষণার পরেই নতুন করে জল্পনা শুরু হয়, পাহাড়ে কি শেষ পর্যন্ত উঠতে পারবেন গুরুং? নাকি তাঁকে তরাই, ডুয়ার্সের কোথাও থাকতে হবে? গুরুংপন্থীদের দাবি, বিজেপিকে হারানোর জন্য গুরুং প্রস্তাবিত পৃথক রাজ্যের এলাকার মধ্যেই থাকবেন। দার্জিলিঙে ওঁর বাড়ি রয়েছে। সেখানেও যাবেন। বিশাল ছেত্রীরা এ দিন যথারীতি বিজেপির কড়া সমালোচনায় সরব হন। বিশাল বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন, মুখের উপর সোজা বলেন। আর বিজেপি সামনে ভাই বলে পিঠে আমাদের ছুরি মেরেছে।’’

Advertisement

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, রাজ্য সরকার আপাতত দু’পক্ষের মধ্যে সহবস্থান বজায় রাখার কাজ করছে। পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলার কোনও অবনতি হলে তাতে বিনয় বা বিমলের বদলে তির যাবে রাজ্য সরকারের দিকে। সম্প্রতি তাকভর চা বাগান এলাকায় ছোট গোলমাল হয়েছে। আগামী দিনে তা বাড়লে বিজেপি, কংগ্রেস, বামেরা তা নিয়ে সরব হবে। তাই রাজ্য কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। তাই আপাতত বিমল ফিরলেও সমতলে থাকবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিনয় তামাং পেটের সমস্যা নিয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি। অনীত থাপা জিটিএ-র উন্নয়নমূলক কাজের পরিদর্শনে ব্যস্ত। গুরুংপন্থীদের ঘোষণা নিয়ে তাঁরা সরাসরি কিছু বলতে চাননি। অনীত ঘনিষ্ঠ এক কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা বলেন, ‘‘পাহাড়ের যাতে শান্তি বজায় থাকে, তা সবাইকে সুনিশ্চিত করতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন