Bimal Gurung

গোর্খা প্রধান এলাকায় প্রচারে গুরুং

এদিন সমতল এবং পাহাড়ের নিজের কর্মসূচির কথাও বলেছেন গুরুং।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২১ ০৮:০১
Share:

নমস্তে: সোমবার খড়িবাড়িতে বিমল গুরুং। ছবি: স্বরূপ সরকার।

উত্তরবঙ্গের পর রাজ্যের গোর্খা প্রধান এলাকায় তৃণমূলের হয়ে প্রচারে যাবেন বিমল গুরুং। এর মধ্যে সালুয়া অন্যতম। সোমবার তরাইয়ের নকশালবাড়ি, খড়িবাড়িতে দলীয় বৈঠক করেন গুরুং। রবিবার সমতলে নেমেছেন তিনি। গুরুংয়ের ঘোষণা, ‘‘পাহাড়ের আসনগুলি নিয়ে ভাবনাই নেই। তরাই, ডুয়ার্স ও সালুয়ার মতো এলাকায় তৃণমূলকে জেতাতেই হবে। প্রত্যেক এলাকায় নিজে গিয়ে মাটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়ে বিজেপিকে শিক্ষা দেব।’’ রবিবার শালুগাড়াতেও সভা করে শিলিগুড়িতে বিজেপি হারানোর ডাক দিয়েছিলেন গুরুং।

Advertisement

এদিন সমতল এবং পাহাড়ের নিজের কর্মসূচির কথাও বলেছেন গুরুং। তিনি জানান, তরাইয়ের পর কালিম্পঙে সভা করে কি‌ছু দিন থাকবেন। তার পরে তাঁর ডুয়ার্স জুড়ে প্রচার অভিযান শুরু হবে। তবে সোমবার শিলিগুড়িতে আসা অভিষেকের সঙ্গে কোনও বৈঠক আপাতত নেই বলেও গুরুং জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ওটা তৃণমূলের নিজস্ব দলীয় বৈঠক। ওখানে আমার কিছু নেই।’’

দলীয় সূত্রের খবর, তরাই এবং ডুয়ার্সে নেপালি ভাষাভাষী এবং গোর্খা সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা যথেষ্টই। বিশেষ করে চা বলয়ে গুরুংয়ের ভাল প্রভাব রয়েছে। তেমনি‌ই, সালুয়ায় গোর্খা জনগোষ্ঠীর মানুষ ভাল সংখ্যায় থাকেন। এই সমস্ত আসনে ভোটের হিসাব ঠিক রাখতেই গুরুং ঘোরা শুরু করেছেন। গত ১২ বছর বিজেপির পক্ষে থাকায় মোর্চা সমর্থকদের একটা অংশ এখনও গেরুয়া ঘেঁষাই হয়ে রয়েছে বলে গুরুং শিবির মনে করছে। এখন নিজের প্রভাব খাটিয়ে তাদের ‘দল বদলাতে’ প্রচার শুরু করেছেন গুরুং। তাঁকে এই কাজে লাগিয়ে উত্তরবঙ্গে ৫৪টি আসনের মধ্যে অন্তত ১৭-১৮টি আসনে ভাল ফলের আশা করছে তৃণমূল।

Advertisement

খড়িবাড়িতে দলীয় কর্মিসভায় গুরুং এদিন দিল্লির কষ্টকর পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে বিজেপি বিরোধিতা বাড়ান। তিনি জানান, ঘরছাড়াদের নিয়ে তাঁকে বিজেপি নেতাদের দোরে দোরে ঘুরতে হয়েছিল। আশ্বাস ছাড়া কিছু মেলেনি। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি ১ জন সাংসদ বিজেপিকে তৈরি করে দিয়েছিলাম রাজ্যে। সেখান থেকেই শুরু করে আজ ১৮ জনে পৌঁছেছে। আর আমাদের অন্ধকারেই রেখে দিয়েছিল।’’

তৃণমূলকে জেতানোর কথা বলেও নিজের সংগঠন নিয়েও সচেতন গুরুং। নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ির মতো এলাকায় সাড়ে তিন বছর পর গিয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত কমিটি গঠন করা, বসে যাওয়া কর্মীদের সক্রিয় করার কথা বলেছেন গুরুং। তেমনিই, অনীত থাপা, বিনয় তামাংরা জিটিএতে বসেও কেন ভোটে জেতেননি, তা নিয়ে ফের কটাক্ষ করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন