Didir Doot

গ্রামে দূত এলে গাছে বাঁধুন, মালদহে নিদান দিলীপের, পায়ের তলায় মাটি নেই, পাল্টা তৃণমূল

রবিবার মালদহের কালিয়াচক থানার রাজনগর এলাকায় কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে ‘দূত’দের গাছে বাঁধার নিদান দেন তিনি। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালিয়াচক শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:২১
Share:

আবার বেলাগাম দিলীপ ঘোষ। — ফাইল চিত্র।

গ্রামে কোনও ‘দূত’ এলে বেঁধে রাখুন। মালদহের কালিয়াচকে দলের কর্মী সম্মেলনে এমনই নিদান দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপের মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছে তৃণমূলও। মালদহের তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে।

Advertisement

রবিবার মালদহের কালিয়াচক থানার রাজনগর এলাকায় কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘দূতদের গাছে বাঁধছে লোকে। বটগাছে বাঁধছে। খেজুর গাছে বাঁধছে। বলছে, ‘‘রাস্তা কেন হয়নি বল আগে?’’ এর পরই স্বভাবসিদ্ধ ঢংয়ে তাঁর সংযোজন, ‘‘আপনাদের গ্রামে যদি কোনও দূত আসে ওকে ভাল করে গাছে বাঁধবেন। দু’দিন বেঁধে রাখবেন। জল পর্যন্ত খেতে দেবেন না।’’ পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি প্রার্থীদের জয়ী করার আহ্বানও জানিয়েছেন দিলীপ।

দিলীপের মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। মালদহ জেলার তৃণমূল সভাপতি আব্দুল রহিম বক্সি বলেন, ‘‘পায়ের তলায় মাটি নেই বিজেপির। তাই গ্রামবাসীদের উস্কানি দিচ্ছে গন্ডগোল করার জন্য। গ্রামবাসীরা সচেতন। বিজেপির নেতাদের ফাঁদে পা দেবেন না। পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি উপযুক্ত জবাব পাবে।’’

Advertisement

গত কয়েক দিনে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। বিরোধীরা এই ক্ষোভকে শাসকদলের উপর জনগণের ‘অনাস্থা’ হিসাবেই দাবি করছে। তবে এ নিয়ে বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২৩ জানুয়ারি রেড রোডে নেতাজির জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘‘রাস্তা দিয়ে গেলে মানুষ কিছু বলবে না, তা নয়। ক্ষোভ থাকতেই পারে। মানুষের কিছু জানানোকে বিক্ষোভ বলে না।’’ তার আগে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির সভা থেকে ‘দিদির দূত’দের ঘিরে বিক্ষোভ নিয়ে মমতা বলেন, ‘‘সমস্যা থাকলে নিশ্চয়ই বলবেন, সমাধান হবে। কারও কথা শুনে কুৎসা-অপপ্রচারে কান দেবেন না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন