BJP

পুরভোট, বিজেপির ঘর গোছানো শুরু

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসে কোচবিহারে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের আসার কথা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২০ ০২:৩৫
Share:

ছবি: সংগৃহীত

পুরসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে ঘর গোছানোর কাজে তোড়জোড় বাড়াচ্ছে বিজেপি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসে কোচবিহারে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের আসার কথা। তুফানগঞ্জ পুরসভা এলাকায় নয়া নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে আয়োজিত একটি সভায় বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে তাঁর। সেখানকার পুরসভা এলাকার নেতাদের নিয়ে বৈঠক করার কথাও রয়েছে। মাথাভাঙা পুরসভা এলাকার নেতাদের নিয়ে বৈঠক হতে পারে।

Advertisement

বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “২১ জানুয়ারি দলের রাজ্য সভাপতি কোচবিহারে আসবেন। তুফানগঞ্জ ও মাথাভাঙা পুরসভা এলাকায় তাঁর কর্মসূচি রয়েছে। পুরভোটের কথা মাথায় রেখে রাজ্য সভাপতির নির্দেশমতোই সাংগঠনিক ভাবে কর্মসূচি নেওয়া হবে।”

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির কোচবিহার সাংগঠনিক জেলার অধীন চারটি পুরসভা রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে কোচবিহার, দিনহাটা, তুফানগঞ্জ ও মাথাভাঙা পুরসভা। প্রতিটি এলাকার জন্য নির্বাচন তদারকিতে ইতিমধ্যে পৃথক কমিটি গড়ার কাজ শুরু হয়েছে। পৃথক কোচবিহার পুরসভা ভোটে দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে-কে উপদেষ্টা করে ওই কমিটি পরিচালনার পরিকল্পনা হয়েছে। একই ভাবে দিনহাটা পুরসভার জন্য সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, মাথাভাঙা পুরসভার ক্ষেত্রে নিত্যানন্দ মুন্সি ও তুফানগঞ্জ পুরসভার জন্য ইন্দ্রমোহন রাভার মতো অভিজ্ঞ নেতাদের পরামর্শ নিয়ে সাংগঠনিক কাজ পরিচালনার বিষয়টি মোটামুটি চূড়ান্ত হয়েছে। দলের এক নেতার কথায়, চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাস নাগাদ ওই চারটি পুরসভাতেও নির্বাচন হতে পারে, এমন সম্ভাবনা মাথায় রেখেই তোড়জোড় বাড়ানো হচ্ছে।

Advertisement

দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, প্রতিটি পুরসভা এলাকার জন্য অভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি স্থানীয় বিষয়গুলি প্রচারে তুলে ধরার ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে। বিজেপি শিবিরের দাবি, গত লোকসভা ভোটে জেলার পুরসভা এলাকাগুলিতেও দল ভাল ফল করেছে। তাতে নেতাদের পাশাপাশি কর্মীদের উৎসাহ বেড়েছে। দলের সাংগঠনিক শক্তিও বেড়েছে। তাই প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না।

বিজেপির এই প্রস্তুতি নিয়ে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “লোকসভার ওই ভোটের সঙ্গে আসন্ন পুরভোটের আবহ গুলিয়ে দেওয়া অযৌক্তিক। তাছাড়া ওদের সংগঠনও নেই। হাওয়ায় আশা করে লাভ হবে না।” বিনয়ের দাবি, “লোকসভা ভোটের পর মানুষের বিজেপি মোহ কেটেছে। সেই ফল ওরা পাবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন