বিজেপির মিছিল-জয়

বিজয় মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তা নিয়ে বৃহস্পতিবারই  প্রশাসনের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। শেষপর্যন্ত রাতে রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক বিজেপিকে শহরে মিছিলের অনুমতি দেন

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৯ ০১:৩৭
Share:

অভ্যর্থনা: রায়গঞ্জে বিজেপির মিছিলের আগে শহর পরিক্রমা করলেন দেবশ্রী চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র

বিজয় মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তা নিয়ে বৃহস্পতিবারই প্রশাসনের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। শেষপর্যন্ত রাতে রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক বিজেপিকে শহরে মিছিলের অনুমতি দেন। ফের ওইদিন রাতেই মহকুমাশাসক রায়গঞ্জ থানার পুলিশের মাধ্যমে অনুমতি বাতিল করে দেন। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার অনুমতি ছাড়াই রায়গঞ্জ শহরে বিজয় মিছিল করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে।

Advertisement

সরকারি অনুমতি না মেলায় এ দিন বিজয় মিছিলে অংশ নিতে পারেননি রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। তবে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রোড-শোয়ের মাধ্যমে বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

মহকুমাশাসক রজতকান্তি বিশ্বাস জানান, জেলায় আইনশৃঙ্খলা অবনতি হতে পারে বলে গোয়েন্দা রিপোর্ট পেয়েই বিজেপির বিজয় মিছিলের অনুমতি বাতিল করা হয়। এর পরেও বিজেপি রায়গঞ্জে বিজয় মিছিল করে থাকলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।

Advertisement

এ দিন দুপুরে শহরের কসবামোড় এলাকা থেকে বিজেপির মিছিল শুরু হয়। সেইসময় দেবীনগর এলাকায় বিজেপির উদ্যোগে দলবদলের একটি অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে রায়গঞ্জ পুরসভার প্রাক্তন নির্দল কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন তৃণমূল নেতা বরেন বৈশ্য-সহ কংগ্রেস ও তৃণমূলের একাধিক নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দিলীপ ও দেবশ্রী দলীয় পতাকা তুলে দেন। এরপর বিজেপির বিজয় মিছিল দেবীনগর এলাকায় পৌঁছনোর পর মিছিলে হুডখোলা গাড়িতে উঠে পড়েন দিলীপ। দলীয় নেতা-কর্মীদের অনুরোধে প্রতীকীভাবে ওই গাড়িতে উঠে নেমে যান দেবশ্রী। পরে তিনি মিছিলের সামনে ছোটগাড়িতে চেপে শহরের চণ্ডীতলা এলাকা পর্যন্ত যান। প্রায় ছয় কিলোমিটার রাস্তায় বিজয় মিছিল হওয়ার পর চণ্ডীতলা এলাকায় মিছিল শেষ হয়। মিছিলে একাধিক মাইকের মাধ্যমে শহর জুড়ে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানও দেওয়া হয়। সঙ্গে ছিল কয়েকশো ঢাকের বাজনা।

দেবশ্রী ও দিলীপ জানান, দলের বিজয় মিছিলে জেলার ন’টি ব্লকের হাজার হাজার মানুষ যোগ দিয়েছেন। পুলিশ ও ডিআইবির মাধ্যমে সেই খবর পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাতারাতি প্রশাসনকে মিছিলের সরকারি অনুমতি বাতিল করার নির্দেশ দেন।

জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অমল আচার্যের দাবি, বিজেপি বিজয় মিছিলের নামে ধর্মকে সামনে রেখে বাসিন্দাদের অশান্তি ছড়ানোর প্ররোচনা দিয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসন বিষয়টি আগাম জানতে পেরে ওই মিছিলের অনুমতি বাতিল করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন