তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ বিরোধী শিবিরে

তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে হামলা ও কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের ৪ এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটে। এ দিন কোচবিহার পুরসভার ফল প্রকাশ হওয়ার পরেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা একই অভিযোগ তোলেন। বামেদের অভিযোগ, পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তোর্ষার চর সংলগ্ন এলাকায় এক ২ সিপিএম সমর্থককে তৃণমূল কর্মীরা মারধর করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গঙ্গারামপুর ও কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৩৭
Share:

তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে হামলা ও কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের ৪ এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটে। এ দিন কোচবিহার পুরসভার ফল প্রকাশ হওয়ার পরেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা একই অভিযোগ তোলেন। বামেদের অভিযোগ, পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তোর্ষার চর সংলগ্ন এলাকায় এক ২ সিপিএম সমর্থককে তৃণমূল কর্মীরা মারধর করে।

Advertisement

এ দিন পুরোপুরি বিরোধী শূন্য করে সবগুলি ওয়ার্ডে জেতার পরে দুপুর থেকেই গঙ্গারামপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিজয় মিছিল বের করে তৃণমূল। অভিযোগ, এ সময়েই ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী নিত্যান্দ বসাকের বাড়িতে হামলা করে তারা। বাড়ির মহিলাদের হুমকি দেওয়া হয়। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে দলের প্রার্থী হরিবন্ধু সরকারের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকেও মারধর করে। কোচবিহার পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হন সিপিএম প্রার্থী পার্থপ্রতিম সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, “ভোটের ফলে নিরাশ হয়ে তৃণমূল হামলা চালায়। বাড়িতে ঢুকে এক মহিলা সমর্থক মর্জিনা বিবি ও তাঁর ছেলে সফিকুল হোসেন মারধর করা হয়েছে।” তিনি জানান, তাঁদের মধ্যে সফিকুলকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

অন্য দিকে কোচবিহারেও বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে, পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন গুড়িয়াহাটি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপির একটি পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। তৃণমূল সমর্থকেরাই অফিস ভাঙচুর করেছে বলে দাবি।

Advertisement

গঙ্গারামপুরে এসডিপিও রাজীব ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘এ রকম ঘটনার কথা জানা নেই।’’ তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সহ সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদও অভিযোগ কার্যত অস্বীকার করে বলেন, “ভোটের আগেও বিরোধীরা সন্ত্রাসের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছিল। ভোটে বেশ কিছু আসন জেতার পরেও কর্মীদের চাঙ্গা রাখতে মিথ্যে অভিযোগ তুলছে।”

এ দিকে এ দিন ভোটের ফলাফল প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জলপাইগুড়ি পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর এবং কর্মীদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধে। ওই ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হয়েছেন পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান কংগ্রেসের পিনাকী সেনগুপ্ত।

আরেক দিকে ভোট গণনার পর ইসলামপুরের বিজেপির ব্লক সভাপতিকে পেছন থেকে এসে মারধরের অভিযোগ উঠল এক দল যুবকের বিরুদ্ধে। দুপুরে ইসলামপুরে কোর্ট চত্বরের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন দুপুরে ইসলামপুরের ব্লক সভাপতি অপূর্ব চক্রবর্তী কোর্ট চত্বরে দাড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় হঠাৎ পেছন থেকে এসে তাঁকে মারধর করে পালিয়ে যায় এক দল যুবক। যদিও অপূর্ব বাবু জানিয়েছেন, কারা তাঁকে মারধর করেছে তা তিনি বুঝতে পারেননি। বিজেপির দলীয় সূ্ত্রে খবর, এলাকার বিক্ষুব্ধ নেতারাই ওই ঘটনা ঘটিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন