—প্রতীকী চিত্র।
এক বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সুলতান নগরের মিশ্রপাড়া এলাকায়। বধূর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য আয়েশা খাতুন নামে ওই বধূর উপরে চাপ দিচ্ছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পুত্রসন্তান চেয়েও হেনস্থা করছিলেন। অভিযোগ, ২২ বছরের তরুণীর নাকের পাশে রক্তের দাগ ছিল। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন মৃতার বাবা।
বছরখানেক আগে গোবরা রশিদপুর এলাকার শেখ দিলোর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আয়েশার। পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিয়ের সময় নগদ টাকা, মোটরবাইক-সহ বিভিন্ন জিনিস যৌতুক হিসাবে দেওয়া হয়। অভিযোগ, তার পরেও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আরও পণ চেয়ে চাপ দিতেন আয়েশাকে। আয়েশার স্বামী ভিন্রাজ্যে কাজ করেন। বেশির ভাগ সময়ে বাড়িতে থাকেন না। আয়েশার পরিবারের অভিযোগ, সন্তানধারণের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল আয়েশাকে।
শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ, ভাসুর তাদের মেয়েকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে আয়েশার পরিবারের অভিযোগ। এই নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত।