শ্রদ্ধা: রুবি নুরের জন্মদিনে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। —নিজস্ব চিত্র
মালদহে গনিখানের জন্ম ও মৃত্যুদিবস পালিত হয় কংগ্রেস এবং তৃণমূল— দুই শিবিরেই। বুধবার তাঁর বোন রুবি নুরেরও মৃত্যুদিবস পৃথক ভাবে পালন করল দুই দল। আর দুই শিবিরের মধ্যেই রুবি নুরের মৃত্যুদিবস পালন নিয়ে চলল রাজনৈতিক তরজা।
গণিখানের মতোই তাঁর বোন রুবি নুরও প্রাসঙ্গিক মালদহের রাজনীতিতে, এখনও। ২০০৮ সালে ১০ জুলাই মারা যান তিনি। সুজাপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে একাধিক বার জয়ী হয়েছেন তিনি। এমনকি, দীর্ঘ সময় ধরে জেলা কংগ্রেসের সভানেত্রী ছিলেন। কংগ্রেস নেতা রবিউল ইসলাম বলেন, “রুবিদি দক্ষ সংগঠক ছিলেন। বরকতদার মতো তিনিও দল ও জেলার উন্নয়ন নিয়ে ভাবতেন। অনেক কাজ করেছেন তিনি।”
পঞ্চায়েত ভোট হোক কিংবা লোকসভা নির্বাচন। জেলা কংগ্রেসের প্রচার ফেস্টুন, হোর্ডিংয়ে গনিখানের পাশাপাশি রুবি নুরেরও ছবি থাকে। গনির মতোই প্রচারে তাঁরও নাম ব্যবহার করেন কংগ্রেস নেতারা। এ দিন প্রয়াত নেত্রীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন নিয়ে কংগ্রেস-তৃণমলের মধ্যে চলল রাজনৈতিক তরজা। লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন রুবি নুরের মেয়ে মৌসম নুর। উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্র থেকে এবারে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়ে হেরে যান তিনি। তারপরে তাঁকে মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি করে দেওয়া হয়। মৌসমের মতো মালদহের একাধিক কংগ্রেসের বিধায়ক যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।
এ দিন সকালে মালদহের হায়াত ভবনে কংগ্রেসের তরফে রুবি নুরের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। সেখানে দক্ষিণ মালদহের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, “গনিখানের মতো তিনিও কংগ্রেসের স্তম্ভ ছিলেন। সব সময়ই দলের কথা ভাবতেন। মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করতেন।” দলীয় কাজে কলকাতায় রয়েছেন মৌসম। তবে তৃণমূলের তরফেও এ দিন রুবি নুরের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোথাবাড়ির বিধায়ক তৃণমূলের সাবিনা ইয়াসমিন, কাউন্সিলর তথা জেলা তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। এ নিয়ে সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতারা। কংগ্রেস নেতা রবিউল ইসলাম বলেন, “রুবি নুর কখনও কংগ্রেস ছেড়ে যান তিনি। তিনি কংগ্রেসেরই সম্পদ। তৃণমূল এখন তাঁর নাম ব্যবহার করছে।” নরেন্দ্রনাথ বলেন, “রুবিদি জননেত্রী ছিলেন। তাই প্রতি বছরই আমরা তাঁর জন্ম এবং মৃত্যুদিবস পালন করি।”