তনভীর সরকার। কুমারগঞ্জে। নিজস্ব চিত্র
জখম শিশুর উপযুক্ত চিকিৎসা না করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার কুমারগঞ্জ থানার ডাঙারহাট এলাকার ঘটনা। নার্সারি বিভাগের জখম ওই পড়ুয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবহেলা ও গাফিলতির অভিযোগ তুলে রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান।
স্কুলে খেলার সময় ধাক্কা লেগে পড়ে গিয়ে শিশুটির মুখে আঘাত লাগে। ঠোঁট কেটে দাঁত ভেঙে রক্ত পড়তে থাকে বলে অভিযোগ। শিশুটির বাবা সইফুর রহমান এ দিন অভিযোগ করেন, বিষয়টি চেপে যেতে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের কোনও খবর দেননি। স্কুল ছুটির পরে শিশুটি বাড়িতে এলে তাঁরা দেখেন, তার জামায় রক্তের দাগ, ঠোঁটও ফোলা। তিনি ফোন করে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান। কিন্তু স্কুলের পক্ষ থেকে ‘ছোট ঘটনা’ বলে জানানো হয় বলে সইফুরের দাবি। শিশুকে ডাক্তার দেখিয়ে রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। প্রধান শিক্ষক অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, শিশুটির প্রাথমিক চিকিৎসা করেই তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল।
ডাঙারহাটে ওই বেসরকারি স্কুলে নার্সারি থেকে ক্লাস ফোর পর্যন্ত ১৫০ জন পড়ুয়া রয়েছে। শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী মিলে স্কুলটিতে রয়েছেন ১৩ জন। এক অভিভাবক মহসিন সরকার বলেন, ‘‘স্কুলে এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু বিষয়টি না চেপে সঙ্গে সঙ্গে স্কুলের তরফে পরিবারের লোকজনকে জানানো উচিত ছিল। আগামী দিনে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হলেই ভাল।’’ প্রধান শিক্ষক অবশ্য দাবি করেন, ‘‘শিশুটির গলায় পরিচয়পত্র ছিল না। ফলে বাড়িতে ফোন করা যায়নি।’’ প্রধান শিক্ষকের দাবি মানতে চায়নি জখম শিশুর পরিবার।