ফের সংঘর্ষ দুই ফুলে

এ দিন নাজিরহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক জন সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলে দাবি করেন উদয়ন গুহ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

দিনহাটা শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৯ ০২:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে মহামিছিল করেছিল তৃণমূল। সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূলের দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ এবং প্রাক্তন সাংসদ তথা দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। দিনহাটা-২ ব্লকের নাজিরহাটে সেই মিছিল শেষ হওয়ার পরে পার্থর গাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের দাবি, এর পরে উত্তেজিত জনতা পাল্টা বিজেপির কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। যদিও বিজেপির দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত তৃণমূলই অশান্ত করছে নাজিরহাটকে আর সব দোষ চাপাচ্ছে বিজেপির ঘাড়ে।

Advertisement

এ দিন নাজিরহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক জন সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলে দাবি করেন উদয়ন গুহ। তাঁর বক্তব্য, এর ফলে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে এল। লোকসভা ভোটের পরে নাজিরহাট এলাকায় বিজেপির সংগঠন অনেকটাই বেড়েছিল। নিশীথ প্রামাণিকের দলে যোগদান এবং জয়ের প্রভাব পড়ে এলাকায়, বলছিলেন জেলার রাজনৈতিক লোকজনেরা। যুব সংগঠনের একটি বড় অংশও বিজেপিতে যোগ দেয় বলে দাবি। তৃণমূলের তরফে তখন বারবারই বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলা হয়। যদিও বিজেপি সেই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ভোটের ফল বেরোনোর পরে তিন মাস পরে এলাকায় কোনও মিটিং মিছিল করতে পারেনি তৃণমূল। সে দিক থেকে এ দিনের মহামিছিলকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে। তার পরে পঞ্চায়েত সদস্যদের যোগদানের ঘটনা থেকে আরও মনে করা হচ্ছে, একটু হলেও হারানো জমিতে পা রাখতে পেরেছে তৃণমূল। এই মিছিলের পরই আচমকা ভাঙচুর করা হয় পার্থর গাড়ি। পার্থ বলেন, ‘‘পরিকল্পিতভাবেই এ দিন মহামিছিল শেষে আক্রমণ চালায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। শান্ত নাজিরহাটকে অশান্ত করে তোলার চক্রান্ত করছে বিজেপি।’’

Advertisement

পাল্টা বিজেপির কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির কোচবিহার জেলা সহ-সভাপতি ব্রজগোবিন্দ বর্মণ বলেন, ‘‘নাজিরহাটে তৃণমূল এদিন মহামিছিলের নামে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে। বিজেপি কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়। উত্তেজিত জনতা এর পরই প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।’’

গোলমালের খবর পেয়ে দিনহাটার এসডিপিও মানবেন্দ্র দাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন