এনআরসি-যুদ্ধ

এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ ইংরেজবাজারের পুড়াটুলি থেকে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি রাজ্যে চালুর দাবিতে মিছিল করে বিজেপি নেতৃত্ব। ফোয়ারা মোড়ে দুপুর দেড়টা নাগাদ জমা হন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল নিয়ে চলে বিক্ষোভ, স্লোগান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৮ ০৩:২৬
Share:

বিতণ্ডা: এনআরসির দাবি ঘিরে তৃণমূল-বিজেপির মিছিলে হাতাহাতি ইংরেজবাজারে। নিজস্ব চিত্র

এক পাশে বিজেপির নেতা কর্মীরা। অন্য দিকে তৃণমূলের নেতা কর্মী। মাঝে জনা চারেক পুলিশ। শনিবার দুপুরে স্লোগান, পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ইংরেজবাজার শহরের ফোয়ারা মোড়। দু’পক্ষের মধ্যে বিক্ষিপ্ত ভাবে হাতাহাতিও ঘটে। কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায় শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। দাবি—নাগরিক পঞ্জিকরণ।

Advertisement

এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ ইংরেজবাজারের পুড়াটুলি থেকে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি রাজ্যে চালুর দাবিতে মিছিল করে বিজেপি নেতৃত্ব। ফোয়ারা মোড়ে দুপুর দেড়টা নাগাদ জমা হন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল নিয়ে চলে বিক্ষোভ, স্লোগান। বিজেপির জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র সহ তিন শতাধিক কর্মী সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। ঠিক সেই সময় নেতাজি মোড় থেকে ফোয়ারা মোড়ের দিকে আসে তৃণমূলের মিছিল। ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা সভাপতি দুলাল সরকার, কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী সহ একঝাঁক জেলা নেতৃত্ব। আচমকা ফোয়ারা মোড়ে মিছিল নিয়ে দাঁড়িয়ে যান তৃণমূল নেতা তথা কাউন্সিলর আশিস কুন্ডু। শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের মধ্যে স্লোগান, পাল্টা স্লোগান। দু’দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি এবং হাতাহাতিও হয়। পুলিশ কর্মীরা পরিস্থিতি সামাল দেন।

এক ট্র্যাফিক পুলিশ কর্মী বলেন, “টোটো জট কাটাতেই রোজ হিমশিম খেতে হয়। তার উপরে পরপর দু’দলের মিছিলে জট কাটাতে সময় লেগে যায় ঘণ্টাখানেক।” দিনের ব্যস্ততম সময়ে মিছিল, বিক্ষোভের ঘটনার নিন্দা করেছেন শহরবাসী।

Advertisement

সঞ্জিত বলেন, “তৃণমূলই অশান্তি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। ভয় দেখিয়ে আমাদের আটকানো যাবে না।” দুলাল পাল্টা বলেন, “বিজেপি অশান্তি করে খবরের শিরোনামে থাকতে চায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন