হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ফিরোজের। — নিজস্ব চিত্র
জমি নিয়ে শরিকি বিবাদের জেরে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হল। আহত হয়েছেন আরও এক জন। রবিবার সকালে ইসলামপুর থানার গাঠিয়াটোল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত সারজান আলি (৩০) ওই এলাকারই বাসিন্দা।
বাড়ির জমি নিয়ে খুড়তুতো ভাই মহম্মদ মুসলিমের সঙ্গে বিবাদ ছিল সারজান ও তার পরিবারের। ঝামেলা মেটাতে সুজালি পঞ্চায়েতের সদস্যার স্বামী, কয়েক জনকে নিয়ে সালিশি সভা ডেকে জমিটি তিন ভাগ করেন।
অভিযোগ, তার পরেও এ দিন সকালে ওই জমি নিয়ে মহম্মদ মুসলিমের সঙ্গে সারজানের বিবাদ বাধে। সারজানের দাদা মহম্মদ ফিরোজের উপর লাঠি ও ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয় ও কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলেও অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে সেখানেই গুলিবিদ্ধ হয় সারজান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়েই বিশাল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
লাঠির আঘাতে আহত মহম্মদ ফিরোজ ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘সকালে মুসলিমকে বলি তাদের খরের ঘরটি জমি থেকে সরিয়ে নিতে। তখনই ওদের পরিবারের লোক আমার উপর হামলা চালায়। আমাকে লক্ষ্য করে গুলিও ছুড়েছিল। হামলার খবর পেয়ে ভাই সেখানে এলে তার গুলি লাগে।’’ গুলি মুসলিম নিজেই করেছিল বলে দাবি ফিরোজের।
বিষয়টি অস্বীকার করেন মুসলিম ও তার পরিবারের লোকেরা। তার দাবি, ‘‘এ দিন আমাদের বাড়িতে গন্ডগোল করতে এসেছিল ওরা। ওদের ছোড়া গুলিতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আমি গুলি চালাতে যাব কেন?’’ ইসলামপুরের এসডিপিও প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত তিন জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের পরিবারের লোকেরা মুসলিম-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে এ দিন বিকেলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। মামলা রুজু করা হচ্ছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা মৌসুমী খাতুনের স্বামী মহম্মদ জাহিদুল বলেন, এর পেছনে রাজনৈতিক কারণ নেই। সম্প্রতি জমি নিয়ে গন্ডগোল ছিল বলে পঞ্চায়েত সদস্য ও এলাকার কিছু লোককে নিয়ে তার মীমাংসা করা হয়। সব কিছু ঠিকই ছিল। এদিন সকালে হঠাৎই নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল বাধে। পুলিশ তদন্ত করছে।