প্রতীকী ছবি।
কীর্তনের আসরের পাশেই হঠাৎ লড়াই জুড়ে দেয় দু’টি ষাঁড়। আচমকা তারা ঢুকে পড়ে কীর্তনের আসরে। ষাঁড়ের তাণ্ডবে আহত হন এক শিশু ও ছয় মহিলা সহ কম পক্ষে ২০ জন গ্রামবাসী।
বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হবিবপুর থানার গাঁধীনগর গ্রামে। রবিবার রাত থেকে একটি মাঠে চলছে কীর্তনের আসর। শুক্রবার রাতেই কীর্তনটি শেষ হয়ে যাবে। তাই গ্রামের বহু মানুষ কীর্তন শুনতে ভিড় জমিয়েছিলেন। কীর্তনের আসর তখন জমে গিয়েছে। সেখানে আসেপাশের বহু মানুষ এসেছিলেন। ষাঁড় দু’টির উপরে নজরও ছিল অনেকের। তারা প্রায় ঘণ্টাখানেক লড়াই করছিল তারা।
কিন্তু কেউই ভাবতে পারনেনি, নিজেদের মধ্যে সড়াই করতে করতে ষাঁড় দু’টি হঠাৎ একেবারে দর্শকদের মধ্যেই ঢুকে পড়বে। প্রথমে ষাঁড় দু’টিকে কীর্তনের আসরের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে অনেকেই চিৎকার করে ওঠেন। কিন্তু ষাঁড় দু’টো এত দ্রুত আসরে ঢুকে পড়ে যে, তাতেও শেষরক্ষা করা যায়নি। আসরে উপস্থিত এক জন জানান, ষাঁড় দু’টো এতই অতর্কিতে ঢুকে পড়ে যে চিৎকার করে সাবধান করার তেমন সময় পাওয়া যায়নি।
ঘটনায় আহত দু’বছরের শিশু মেঘলা মণ্ডল ও তার মা প্রতিমাদেবী সহ মাধবী কর্মকার, রুমকি মণ্ডল, বন্দনা সিংহকে স্থানান্তরিত করা হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ষাঁড়ের গুঁতোয় বন্দনাদেবীর পেটে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ায় চিকিৎসকেরা তাঁকে কলকাতা রেফার করেছেন। বাকিরা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আহত প্রতিমাদেবী বলেন, ‘‘ষাঁড় দু’টি আসরে ঢুকে পড়বে ভাবতেই পারেনি। মেয়েকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলাম। তখন গুঁতো খেতে হল।’’
শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দারাই ষাঁড় দু’টিকে তাড়া করে মাঠের দিকে নিয়ে চলে যায়। আর আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যান বুলবুলচণ্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে। কীর্তন কমিটির সম্পাদক সঞ্জয় মন্ডল বলেন, ষাঁড় দুটির দেখা না মিললেও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে।