চল্লিশ ডিগ্রি, তাতেও চুটিয়ে প্রচার

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব কাটতেই টানা গরম শুরু হয়েছে মালদহে। কাঠফাটা রোদে খাঁ খাঁ করছে রাস্তাঘাট। পিচের রাস্তা যেন ফুটন্ত কড়াই। সপ্তাহখানেক ধরে এমনই আবহাওয়া মালদহে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হবিবপুর শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৯ ০১:৫০
Share:

প্রচারে সাধু টুডু। —নিজস্ব চিত্র।

প্রায় চল্লিশ ডিগ্রি ছোঁয়া গনগনে রোদ। সেই সঙ্গে অস্বস্তিকর গরম। রোদ-গরম মাথায় নিয়েই কেউ ছুটলেন হাটে। কেউ আবার ধামসা-মাদলের তালে পা মেলালেন আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে। ভোটের আগে শেষ রবিবার জমিয়ে প্রচার করলেন মালদহের হবিবপুর বিধানসভার সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থীই।

Advertisement

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব কাটতেই টানা গরম শুরু হয়েছে মালদহে। কাঠফাটা রোদে খাঁ খাঁ করছে রাস্তাঘাট। পিচের রাস্তা যেন ফুটন্ত কড়াই। সপ্তাহখানেক ধরে এমনই আবহাওয়া মালদহে। এ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। এর মধ্যেই এ দিন হবিবপুর ব্লকের জাজইলে গ্রামীণ হাট বসেছিল। সেই হাটে গিয়ে ভোট প্রচার করেন বিজেপি প্রার্থী জোয়েল মুর্মু। হাজার খানেক দোকান ঘিরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে গমগম করে হাট। ফলে জনসংযোগ বাড়াতে সেই হাটকেই বেছে নেন জোয়েল। হাটে গিয়ে প্রচারের পাশাপাশি জগদ্দলা গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে পায়ে হেঁটে প্রচার করেন। তিনি বলেন, ‘‘আগামী রবিবার ভোট। তাই আজ ছুটির দিনে সকাল থেকেই প্রচারে বেরিয়ে পড়েছি।’’ গরম থেকে বাঁচতে কী করছেন? তিনি বলেন, “আমরা গ্রামের মানুষ। গরমের মধ্যেই মাঠে চাষ করতে হয়। তবে কর্মীদের নিয়মিত জল খেতে অনুরোধ করছি।”

এ দিন দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে ভোট প্রচার করেন উত্তর মালদহের কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী। দলের প্রার্থী রেজিনা মুর্মুকে নিয়ে গোবিন্দপুর মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে হুডখোলা গাড়িতে র‌্যালি করেন তিনি। তারপরে ওই এলাকায় আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে ধামসা-মাদলের তালে পা মেলান রেজিনা ও ইশা। রেজিনাকে আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে কোমর দোলাতেও দেখা যায়। আর মাদল বাজান ইশা। তিনি বলেন, “ধামসা, মাদলের সঙ্গে আমি পরিচিত নয়। তবে লোকসভা ভোট প্রচারে হবিবপুর, বামনগোলাতে ধামসা-মাদল বাজিয়েছি।”

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এখানে দাপিয়ে প্রচার করেন তৃণমূল প্রার্থী অমল কিস্কু। তাঁর সমর্থনে ভোট প্রচার করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এছাড়া, দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ছোট ছোট ঘরোয়া বৈঠক করেন অমল। তিনি বলেন, “গরমে কর্মীদের ছোটাছুটি করতে সমস্যা হয়। তাই গ্রামের বাঁশবাগানে গিয়ে ঘরোয়া বৈঠক করা হয়।” গরম উপেক্ষা করে প্রচার করেন সবচেয়ে প্রবীণ প্রার্থী সাধু টুডু। তিনি বলেন, “হবিবপুরের মাটি লাল। আর উপনির্বাচনেও মাটির রং লালই থাকবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন