বাঘের বেড়ায় আটকে গাড়ি

সাফারি পার্কের ডিরেক্টর ধর্মদেও রাই বলেন, ‘‘টাইগার সাফারির সময় কোনও যান্ত্রিক গোলযোগে গাড়িটি স্টার্ট নিচ্ছিল না। ২০ মিনিটের মধ্যে নিয়মমাফিক অন্য গাড়ি ভিতরে পাঠিয়ে অকেজো গাড়িটিকে টেনে ফেন্সিংয়ের বাইরে আনা হয়।’’ 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৪৪
Share:

বিকল: বেঙ্গল সাফারি পার্কে আটকে বাস। নিজস্ব চিত্র

টাইগার সাফারিতে বাঘের ঘেরাটোপে পর্যটকদের নিয়ে ঘোরার সময়ে গাড়ি বিকল হয়ে বিপত্তি হল। বুধবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ শিলিগুড়ির অদূরে বেঙ্গল সাফারি পার্কের ঘটনা। গাড়ির মধ্যে থাকলেও রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ‘বেড়া’র ভিতরে আটকে পড়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পর্য়টকেরা। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে যাঁরা গাড়ির মধ্যে আটকে ছিলেন তাঁরা। এবং কয়েক জন মহিলাও। তা নিয়ে হইচই শুরু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকল ওই গাড়ির কাছেই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বিভান ও শীলাকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছিল। আধঘন্টা ওই অবস্থায় থাকার পরে অন্য গাড়ি পাঠিয়ে আটক পর্যটক বোঝাই গাড়িটিকে বেড়ার বাইরে নিয়ে আসা হলে হাঁফ ছাড়েন সকলে।

Advertisement

সাফারি পার্কের ডিরেক্টর ধর্মদেও রাই বলেন, ‘‘টাইগার সাফারির সময় কোনও যান্ত্রিক গোলযোগে গাড়িটি স্টার্ট নিচ্ছিল না। ২০ মিনিটের মধ্যে নিয়মমাফিক অন্য গাড়ি ভিতরে পাঠিয়ে অকেজো গাড়িটিকে টেনে ফেন্সিংয়ের বাইরে আনা হয়।’’

মহানন্দা অভয়ারণ্যে স্বাভাবিক জঙ্গলের পরিবেশে তৈরি এই সাফারি পার্ক। সেখানে বাঘ এবং অন্যান্য জন্তু বেড়ার ভিতরে ছাড়া থাকে। গাড়ি করে ভিতরে দর্শকদের নিয়ে গিয়ে সে সব প্রাণীদের দেখানো হয়।

Advertisement

সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আটকে থাকা গাড়িতে শিশু, মহিলা মিলিয়ে ২০ জনের মতো পর্যটক ছিলেন। হরিন, ভালুক-সহ অন্য জন্তু দেখানোর পর টাইগার সাফারি ছিল একেবারে শেষে। টাইগার সাফারি করানোর সময় বাঘ দেখাতে গাড়ি দাঁড়ায়। তার পরে স্টার্ট নেওয়ার সময় বিপত্তি ঘটে। প্রথমে অন্য গাড়ি গিয়ে অকেজো গাড়িটিকে টেনে বেড়ার বাইরে নিয়ে আসে। এর পরে ওই দর্শকদের অন্য গাড়িতে নিরাপদে তুলে দেওয়া হয়।

বাঘের বেড়ায় গাড়িতে আটকে পড়া অমর দেবনাথ বলেন, ‘‘বাচ্চা নিয়ে প্রথম বার সাফারি পার্কে ঘুরতে এসেছি। বাঘ দেখানোর সময় গাড়ি স্টার্ট নিচ্ছিল না। বাচ্চা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। আরও তাড়াতাড়ি যদি গাড়িটিকে বের করে আনা হত, তা হলে ভাল হত।’’

অন্য এক মহিলার কথায়, ‘‘হরিণ দেখলাম। ভালুক দেখেছি। চিতাবাঘ দেখলাম। বাঘ দেখে উৎফুল্ল। যখন গাড়ি ছাড়বে তখন তা স্টার্ট নিচ্ছিল না। চালক যোগাযোগ করছিলেন উদ্ধারকারী দল পাঠানোর জন্য। আমাদের উদ্ধার করতে রেসকিউ টিম আসতে দেরি করছিল। এতক্ষণ যে আনন্দ করছিলাম, তখন তা ভুলে একটু ভয় করতে শুরু করে।’’ দর্শকদের দাবি, ফেন্সিংয়ের ভিতরে যে গাড়ি ঢুকবে সেটি ঠিক রয়েছে কি না তা আগে দেখে নিলে এমন ঘটনা এড়ানো যাবে। এধরণের ঘটনা থেকে বড় বিপদেরও আশঙ্কা থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন