বাজারে পচা মাং‌স

তার মধ্যে বেশকিছু ছাগলের কাটা মাথা এবং ছাঁট মাংস ছিল। আজ, বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুর কর্তৃপক্ষের তরফে পুলিশে অভিযোগ জানানো হবে। অভিযুক্ত বিক্রেতা পলাতক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৮ ১৮:৩৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

কলকাতার পর এবার শিলিগুড়িতেও ভাগাড়ের মৃত পশুপাখির মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠল। শিলিগুড়ি পুরসভার ৩ নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান নিখিল সাহনি এই অভিযোগ এনেছেন। বুধবার তাঁর ওয়ার্ডের টাউন স্টেশন বাজারের দু’টি মাংসের দোকান থেকে অন্তত তিনদিনের পুরনো মাংস বরফ দিয়ে থার্মোকলের বাক্স-বন্দি অবস্থায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

Advertisement

কয়েকজন ক্রেতার অভিযোগ পেয়ে এদিন ওই মাংসের দোকানগুলিতে অভিযান চালান পুরসভার ফুড লাইসেন্স বিভাগের আধিকারিকেরা। ওই দু’টি দোকানে মোট চারটে থার্মোকলের বাক্সের মাংসে পোকাও মিলেছে বলে অভিযোগ। তার মধ্যে বেশকিছু ছাগলের কাটা মাথা এবং ছাঁট মাংস ছিল। আজ, বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুর কর্তৃপক্ষের তরফে পুলিশে অভিযোগ জানানো হবে। অভিযুক্ত বিক্রেতা পলাতক।

যদিও মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ভাগাড়ের মাংস বিক্রির অভিযোগ ভিত্তিহীন। কয়েকদিনের পুরনো মাংস বিক্রি হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’’ নিখিলবাবুর অবশ্য দাবি, তাঁর ১৮ এবং লাগোয়া ২০ নম্বর ওয়ার্ডে অনেক দরিদ্র মানুষ রয়েছেন। সেজন্য কিছু বিক্রেতা কম দামের মাংস বিক্রি করেন। তিনি বলেন, ‘‘অভিযুক্ত ব্যবসায়ী ভাগাড় থেকে মাংস এনেছেন। সেই মাংস একটি বাড়িতে মাটি চাপা দিয়ে মজুত করে রাখা হত। গোপনে খবর পেয়ে পুর আধিকারিকদের জানানো হয়।’’

Advertisement

ওই কাউন্সিলর জানান, আজ তিনি পুলিশে অভিযোগ জানাবেন। পুরসভার ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। অভিযোগ, পুর কর্তৃপক্ষ কিছুই দেখছেন না। তাঁর দাবি, অভিযুক্ত মাংস বিক্রেতা মেয়রের ওয়ার্ডের (৬ নম্বর) বাসিন্দা। কয়েকমাস ধরে টাউন স্টেশন বাজার এলাকায় ওই ব্যক্তিরা বাড়ি ভাড়া নিয়ে আছে। বাজারে মাংসের দোকান খুলেছে। দরদাম করলে তাদের কাছে কম দামেও মাংস মেলে। তাতেই সন্দেহ হয় অনেকের। বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘পুর কর্তৃপক্ষ কী করছে বুঝতে পারছি না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা দরকার।’’

পুরসভার ফুড ইনস্পেক্টর গণেশ ভট্টাচার্য জানান, কয়েকদিন ধরে এই ধরনের অভিযান চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন