CBI

দামি গাড়ি কেন, পাচার তদন্তে উত্তরেও সিবিআই

রাধাবাড়িতে থাকার সময়ে সতীশ কুমারের পরিবারের সদস্যরা দামি গাড়ি করে মাঝেমধ্যেই শিলিগুড়ির বিভিন্ন অভিজাত রেস্তরাঁয় যাতায়াত করতেন বলে বিএসএফের একটি সূত্রের দাবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:০২
Share:

এ ভাবেই পাচার চলেছে গত শীতেও। মালদহে। ফাইল চিত্র

সতীশ কুমারের ব্যাপারে এখন সিবিআইয়ের নজর শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ির দিকেও।

Advertisement

তিনি প্রথমে ছিলেন মালদহের ২০ নম্বর ব্যাটালিয়নে, সহকারী কমান্ডান্ট হিসেবে। পরে সেটি নাম বদলে হয়ে যায় ৩৫ নম্বর ব্যাটালিয়ন। তখন তিনি সেই বাহিনীর কমান্ডান্ট হন। সেটা ২০১৫-২০১৭ সালের কথা। একটা সময়ে জলপাইগুড়ির রাধাবাড়ি সেক্টরেও পোস্টেড ছিলেন সতীশ। মালদহের পর শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়িকে কেন্দ্র করে আরও কোনও চক্রের সঙ্গে তিনি জড়িয়েছিলেন কি না, তা-ই এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির দেশবন্ধুপাড়া-বাবুপাড়া এলাকায় একটি আবাসনে তাঁর ফ্ল্যাটের খোঁজ মিলেছে। সেখানে তাঁর দুই আত্মীয় থাকেন বলেও চাউর হয়েছে। শুক্রবার এই নিয়ে সিবিআই অফিসারেরা খোঁজখবর করেছেন। তবে দার্জিলিং জেলার পুলিশ-প্রশাসনের কাউকে সরকারিভাবে তা জানানো হয়নি।

Advertisement

রাধাবাড়িতে থাকার সময়ে সতীশ কুমারের পরিবারের সদস্যরা দামি গাড়ি করে মাঝেমধ্যেই শিলিগুড়ির বিভিন্ন অভিজাত রেস্তরাঁয় যাতায়াত করতেন বলে বিএসএফের একটি সূত্রের দাবি। বাহিনীর অফিসারেরা জানিয়েছেন, সতীশ কুমার যে পদমর্যায় ছিলেন, তাতে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সরকারি গাড়ি বরাদ্দ ছিল। তবু শিলিগুড়ির এক প্রথম সারির গাড়ি ভাড়া দেওয়ার এজেন্সি থেকে বিলাসবহুল অত্যাধুনিক গাড়ি রাধাবাড়ি ক্যাম্পের সামনে পৌঁছে যেত পরিবারের সদস্যদের আনতে। গত বছর রাধাবাড়ি লাগোয়া শিলিগুড়ির ফুলবাড়িতে একটি বাড়ি এবং কয়েক বিঘা জমিতেও সতীশ কুমার বিনিয়োগ করেছেন বলে খবর। পাশাপাশি শিলিগুড়ির বিভিন্ন রেস্তরাঁ, হোটেলে তিনি অনেক সময় একাই যেতেন বলে খবর। সেখানে বিহার-সহ অন্য জায়গা থেকে লোকজন আসত বলেও খবর। সিবিআই অফিসারেরা শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ির ক্ষেত্রে এই জায়গাই খতিয়ে দেখা শুরু করেছেন। বিএসএফের সূত্রের খবর, বিএসএফের নিজস্ব দুর্নীতিদমন শাখা ওই অফিসারের সম্পত্তি নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে। মালদহ, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ধরে তদন্ত চলছে। তবে এই নিয়ে বিএসএফ কর্তারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। নর্থবেঙ্গল ফ্রন্টিয়রের আইজি সুনীল কুমার ত্যাগী কোনও মন্তব্য করেননি। অবশ্য বাহিনীর আরেক কর্তা জানান, গোটা দেশের ১৫টি শহরে সতীশ কুমারের সম্পত্তির খবর রয়েছে। এই অঞ্চলেও তা থাকতে পারে। তদন্ত চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন